চট্টগ্রাম,০৩ জুলাই, ২০২২:
হাওয়া সিনেমা চারপাশে মাতিয়ে তুলেছে। সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা না দেখা প্রজন্মটি সিনেমা হল খুঁজছে। কি আছে হাওয়া সিনেমায়। নির্মাতা কিভাবে হাওয়া গল্পকে সিনেমায় উপজীব্য করে তুলেছেন। কবি ও সাংবাদিক রুদ্র অনির্বাণ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখার পর তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন….
#এটা এক তরুণীর প্রতিশোধের গল্প, যে তার বাবার খুনিকে খুন করতে মাছের রূপ ধরে বোটে আসে আর সাপের রূপ নিয়ে মিলিয়ে যায় হাওয়ায়, তার আগে মানুষের স্বভাবের জটিল ঘূর্ণিতে একে একে শেষ হয়ে যায় সবাই। এক কথায় এটাই ‘হাওয়া’ সিনেমার গল্প। তবে কি এটা রূপকথার গল্প? না; অলৌকিক কোনো জীবনের গল্প? না; বহুযুগ আগের কোনো কাহিনি? না; এটা এই সময়ের বা সব সময়ের গল্প এবং বাস্তবতা। শুধু গল্পটা বলার জন্যই কিছু রূপকের আশ্রয় নিয়েছেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন, এতে সত্য আছে, আছে স্বাভাবিক জীবনের টান। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিনেমার বিচারে ‘হাওয়া’ আমার ভালো লেগেছে। তবে এটা আরেকটু কেটেছেঁটে ছোট করা যেত। আরও নাটকীয়তায়, আরও জটিল করে গল্পটা বলা যেত। যা বলা হয়নি তা নিয়ে তো আর কথা হবে না। তবে সাধারণের কাছে ‘সাদা কালা’ গানের টানে হলে ছুটে যাওয়ার যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তাতে কিছুটা হয়ত ভাটা পড়তে পারে ছবিটা দেখার পর। তবু বাংলা সিনেমা ‘নিয়মের বাইরের গল্প’ বলুক, বলুক বিচিত্র জীবনের আরও গল্প, আরও নতুন সব দৃশ্যের মুখোমুখি করুক দর্শককে।
সবার অভিনয়ই কমবেশি ভালো লেগেছে, তবে আমাকে বিশেষভাবে টেনেছে পারকেছ চরিত্রে রিজভি রিজুর সপ্রাণ উপস্থিতি। চরিত্রটাও অন্যদের চেয়ে আলাদা। তার শেষটাও অনন্য, সবারই যেখানে মৃত্যু হয়েছে খুনোখুনিতে, সেখানে একমাত্র পারকেছ দূরের কোনো অদৃশ্য বোটের ছায়া দেখে ঝাঁপ দিয়েছে সমুদ্রে, মিলিয়ে গেছে সেখানেই।
Discussion about this post