চট্টগ্রাম,২৮ আগস্ট, ২০২২:
চট্টগ্রাম বন্দরের মোট আয়ের উপর এক শতাংশ ‘সার্ভিস চার্জ’ হিসেবে পাওয়ার প্রক্রিয়া চলার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এখন কাস্টমস থেকেও নির্দিষ্ট হারে কর পাওয়ার আশা করছে। ২৮ আগস্ট, রবিবার চসিক ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১৯তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এই আশা ব্যক্ত করেন। চসিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক থাকাকালীন খোরশেদ আলম সুজন বন্দর থেকে সার্ভিস চার্জ পাবার বিষয়ে দাবি তুলে ধরেন। পরে তার দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয় সরকার। যে কারণে সর্বশেষ গত বছর অনুমোদিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০২১’ খসড়ায় বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত হয়। তবে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি এখনো। যে কারণে অনিশ্চয়তা ও কাটেনি। তবে এর মধ্যেই কাস্টমসের ‘বিল অব এন্ট্রি’ থেকে একটি নির্দিষ্টহারে কর আদায় করতে চায় চসিক। আজকের সভায় মেয়র রেজাউল এ বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন মেয়র।
তথ্যমতে, প্রতিটি আমদানি ও রপ্তানি চালানকে ‘বিল অব এন্ট্রি’ ধরে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর আদায় করে কাস্টমস। আদায়কৃত এসব ট্যাক্সের সাথে সিটি করপোরেশনের একটি ট্যাক্স যোগ করতে চায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এর জন্যও লাগবে দীর্ঘ কাগুজে প্রক্রিয়া, প্রয়োজন হবে সরকারের অনুমোদন।
গভায় মেয়র বলেন, নগরীকে সাজাতে চসিকের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। গৃহকরের উপর নির্ভর করে বিশাল অংকের আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে। চসিক নগরীতে যে সড়কগুলো নির্মাণ করছে সেগুলোতে ধারণ ক্ষমতা অনেক কম। চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ হতে ৩০ টন বোঝাই মালামাল ট্রাক ও লরি চলাচলের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাই বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহনগুলো থেকে নিদিষ্ট হারে ট্যাক্স আদায় এবং কাস্টমের বিল অব এন্ট্রি থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে চার্জ আদায়ে মন্ত্রণালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
তথ্যমতে, বন্দর প্রতিবছর গড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আয় করে। সে হিসেবে সিটি করপোরেশন বন্দর এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ পেলে প্রায় ৩শ কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে যোগ হবে। তবে অনুমোদিত খসড়া আইনটি অর্থবিভাগের ছাড়, আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদের অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি হলেই সার্ভিস চার্জের ভাগ পাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
গভায় আরো বক্তব্য রাখেন-প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ সহ চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম আজকের সভা সঞ্চালনা করেন।
Discussion about this post