Portcity Link
আজ: শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন
No Result
View All Result
Portcity Link
No Result
View All Result
Home চট্টগ্রাম বন্দর

সোভিয়েত নৌবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পর যেভাবে চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করেছিল

ধ্রুবতারা রজক# পিসিএল স্পেশাল

সোভিয়েত নৌবাহিনী  মুক্তিযুদ্ধের পর যেভাবে চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করেছিল
0
SHARES
107
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েক বর্গ কিমি. এলাকা জুড়ে বিধ্বস্ত জাহাজ, ট্রলার সহ নানা জলযান ধ্বংস হয়ে সাগরের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আর ছিল ভয়াবহ মাইন। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর নিমজ্জিত জাহাজ ও মাইন সরানোর জন্য বিশ্বের সাহায্য চেয়েছিলেন।
কারণ চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে পড়ায় খাদ্য, জ্বালানি, ঔধপত্র সহ নানা আমদানি পণ্যের অভাব দেখা তখন। সঙ্কট তৈরির সম্ভাবনাও ছিল। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয় কেবল সোভিয়েত সরকার।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেমন তেমনি মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করেছে। এতে কর্ণফুলীর মোহনা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েক বর্গ কিমি. এলাকা জুড়ে বিধ্বস্ত জাহাজ, ট্রলার সহ নানা জলযান ধ্বংস হয়ে সাগরের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আর ছিল ভয়াবহ মাইন।
তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল এসপি(সের্গিই পাভলভিচ) জুয়েনকো ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ ও মাইন উদ্ধারকারী দলের নেতা।
সেই ঘটনার স্মৃতিতে লেখা হয়েছে রিয়ার এডমিরাল এসপি(সের্গিই পাভলভিচ) জুয়েনকোর মনে রেখ আমাদের , হে বাংলাদেশ ’ গ্রন্থটি। জুয়েনকো নিজেই চট্টগ্রামে সোভিয়েত নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী নৌবহরের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯৫ সালে বইটি রাশিয়ায় প্রকাশিত হয়। বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করা হয় রাশিয়া বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ তম বছরে।
সের্গেই লিখেছেন, বন্দরের মুখে ও ডক ইয়ার্ডে আশেপাশে ডুবে যাওয়া জাহাজ অনেক ছিল। যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০টির বেশি স্টিমার ও অন্যান্য নৌযান ডুবে গিয়েছিল। বন্দরের প্রবেশ পথ ডুবে যাওয়া জাহাজে অবরুদ্ধ ছিল। আর বন্দরের আশেপাশে বঙ্গোপসাগরের তলদেশ মাইনভর্তি ছিল। বন্দরে আসার পথে সাগরের ভেতরে পেতে রাখা হয়েছিল অসংখ্য মাইন।
তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী ৮০টি বৈদ্যুতিক মাইন তখনো ভেসে বেড়াচ্ছিল। ৮০০ বর্গমাইল সাগর এলাকায় মাইনের উপস্থিতি ছিল।
সেগেই লিখেছেন, আমি ১৯ মার্চ আমি উদ্ধারকারী সেভিয়েত নৌবহরে অধিনায়ক নিযুক্ত হই। এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে পুনর্জন্ম দেওয়ার যে কাজ সামনে অপেক্ষা করেছিল, তা ২ বছর তিন মাসে সম্পন্ন করি।
তাহলে কিভাবে তারা এই দুরুহ কাজটি সমাধান করেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর সচল হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে এসে সোভিয়েত দূতাবাসের অর্থ উপদেষ্টা নিকলাই আর্সেনিয়েভিচ ফিলচেনকোভ এর কাছ থেকে যুদ্ধে ধ্বংসের কিছু চিত্র পান সের্গেই। ‘ যুদ্ধটা স্বল্পকালীন হলেও খুব রক্তক্ষয়ী ছিল। হেরে যাচ্ছে বুঝতে পেরে পাকিস্তানীরা ব্রিজ কালভার্ট, রাস্তাঘাট, শিক্ষাকেন্দ্র, সব উড়িয়ে দিচ্ছিল। বিশেষ করে ক্ষতি হল- দেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞে ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের ও ভারতের উভয় দেশের বিমানবাহিনীর। আর তা ছাড়া স্বয়ং বাঙালি মেরিন যোদ্ধারাও মাইন ফাটিয়ে জাহাজ ধ্বংস কম করেনি।
‘নৌবাহিনীর দুর্যোগ প্রতিরোধ টিম হিসাবে আমরা এর আগে ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার করেছি, আগুন নিভিয়েছি, মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি, অল্প পানি থেকে গভীর পানিতে জাহাজ টেনে নিয়ে গেছি, কিন্তু এত বেশি সংখ্যক ডুবন্ত অচল জাহাজ আমরা এর আগে কোথাও দেখিনি।’
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর কর্ণফুলি নদীর বৈশিষ্ট্যও তার জানা নেই। তিনি লিখেছেন, নদী ¯্রােতের সাথে বিপুল পরিমাণ পলিমাটি বয়ে নিয়ে আসে। জোয়ার ভাটার সমস্যায় ডুবুরিদের দৈনিক সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি কাজ করা সম্ভব ছিল না। এই সমস্যার মধ্যে -চল্লিশটির মত জাহাজ তুলতে হবে, কমপক্ষে এক হাজার বর্গ মাইল এলাকা মাইনমুক্ত করতে হবে। ভাঙ্গা জাহাজ টাগবোট সরিয়ে নিতে হবে।
তিনি বন্দর পর্যবেক্ষণকারী সোভিয়েত বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট পেলেন ৩০ মার্চ। এই বিশেষজ্ঞ টিমে ছিলেন সোভিয়েতের সকল সেরা সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা।
তিনি লিখেছেন, ২৩, ২৫, ২৭ এপ্রিল বন্দর থেকে জাহাজ কাটার স্থানে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টনবাহী তিনটি জাহাজ সরিয়ে ফেলা হল। ফলে প্রায় ৬০ মিটার মিলিত দৈর্ঘ্যরে তিনটি ঘাট অবমুক্ত হল।
যদিও- এ কাজ খুব সময় সাপেক্ষ ও জটিল ছিল। বিশেষ করে ভাষাগত সমস্যা ছিল, বাঙালি নৌযান আর ক্রুদের সাথে।
‘তিনটি জাহাজ টেনে নেবার সময় সহকারী নৌযান সমূহের কাফেলার দৈর্ঘ্য হয়েছিল ৩৫০ মিটার। সেগুলো সফলভাবে স্থানান্তরে প্রমাণ হল অন্তত ৩৫০ মিটার পর্যন্ত পথ নিরাপদ আছে। আর সব্বোর্চ ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে জাহাজ এই পথে সহজে গমনাগমন করতে পারবে। তিনটি টার্মিনাল চালু হয়েছে, তিনটি বড় জাহাজ সরিয়ে ফেলায় অনেকটা মুক্ত হয়ে পড়েছে বন্দর। বলা যায় বন্দরের জীবন ফিরে এসেছে।
৭২ এর ২ মে থেকে মাইন সরানোর কাজ শুরু করে তারা। মে মাসের শুরুতে সোভিয়েত রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে বঙ্গন্ধুর সামনে কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হয়েছে। তিনি লিখেছেন, রিপোর্টে বঙ্গন্ধুর মুখে হাসির আভাস দেখা গেল। ধন্যবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু সের্গেইকে জড়িয়ে ধরেন।
এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর প্রায় ২ হাজার মেরিন সেনা ও কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করে সচল করা হয়েছিল। আর নিমজ্জিত জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
অথচ চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ইন্সুরেন্স কোম্পানি লয়েড ঘোষণা করেছিল- ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরে যে সব জাহাজের মালিক তাদের জাহাজ চট্টগ্রাম পাঠাবে, তাদের বীমার পেমেন্ট ২৫% বাড়ানো হবে। তারপরও ঝুঁকি নিতে কেউই রাজি হয়নি। অন্যদিকে রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশও এগিয়ে আসেনি। এই সুযোগে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর শিপিং কোম্পানির জাহাজ চট্টগ্রামকে পাশ কাটিয়ে তখন ভিড়ছে ভারতের নানা বন্দরে।

ShareTweetShare
Previous Post

স্বাধীনতা ঘোষণার ট্রান্সমিটারটি স্বাধীনতা পার্কে জাদুঘর করে রাখা হবে: ড. হাছান মাহমুদ

Next Post

রাউজানে লায়ন ক্লাব অব চিটাগং কর্ণফুলীর খাবার বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ

Related Posts

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ চুক্তি ডিসেম্বরে
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ চুক্তি ডিসেম্বরে

চট্টগ্রাম বন্দরে কেমিক্যাল শেডের উদ্বোধন করলেন ন‍ৌ পরিবহন উপদেষ্টা, বেড়েছে এনসিটির কাজের গতি
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে কেমিক্যাল শেডের উদ্বোধন করলেন ন‍ৌ পরিবহন উপদেষ্টা, বেড়েছে এনসিটির কাজের গতি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি  পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

নৌবাহিনীর পরিচালনায় এনসিটি, সাইফ পাওয়ারের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কো-অপ্ট
চট্টগ্রাম বন্দর

নৌবাহিনীর পরিচালনায় এনসিটি, সাইফ পাওয়ারের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কো-অপ্ট

সাইফ পাওয়ারটেক কী চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি অপারেশনে থাকছে?
চট্টগ্রাম বন্দর

সাইফ পাওয়ারটেক কী চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি অপারেশনে থাকছে?

চট্টগ্রাম বন্দরে কোরবানির ছুটির কন্টেইনার জট, স্বাভাবিক হতে লাগবে ২ সপ্তাহ
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে কোরবানির ছুটির কন্টেইনার জট, স্বাভাবিক হতে লাগবে ২ সপ্তাহ

Next Post
রাউজানে লায়ন ক্লাব অব চিটাগং কর্ণফুলীর খাবার বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ

রাউজানে লায়ন ক্লাব অব চিটাগং কর্ণফুলীর খাবার বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 ১২৩
৪৫৭৮৯১০
১১১১৩৪১৫১৬১
৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৯৩০৩১

সম্পাদক ও প্রকাশক :

সম্পাদকীয় কার্যালয় :

৪০ মোমিন রোড, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম

মোবাইল : 
ইমেল:

Copyright © 2018: portcitylink II Design By : F.A.CREATIVE FIRM

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন