চট্টগ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হবার পর আজ ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে দেশে প্রথম পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন। পাতাল রেল চালু হলে এ পথে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জে আয়োজিত সুধী সমাবেশ থেকে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন হবে।
পাতাল রেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক।
এই পাতাল মেট্রেরেল রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে জোয়ারসাহারার নতুনবাজারে যুক্ত হবে কমলাপুর-বিমানবন্দর মেট্রোরেল রুটের সঙ্গে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল মাটির নিচ দিয়ে যাবে। তবে পীতলগঞ্জ থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত এ মেট্রো লাইন হবে এলিভেটেড; ৩০০ ফুট সড়কের ওপর দিয়ে যাবে এ রেললাইন।
অর্থাৎ পাতালরেলের এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত পুরো অংশ নির্মিত হবে মাটির নিচ দিয়ে। এটিই দেশের মেট্রো রেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন।
অন্য অংশ হবে এলিভেটেড; সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট নয়টি স্টেশন।
পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে দেশের প্রথম মেট্রোরেল গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করে মেট্রেরেল আয় করেছে প্রায় আড়াই ২ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রো রেল হবে উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে।
এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।
Discussion about this post