চট্টগ্রাম, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
বান্দরবান থেকে বম জনগোষ্ঠির ৫০০ মানুষ মিজোরামে চলে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সদস্যদের ধরতে বান্দরবানের বম অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান শুরু করা হলে তারা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে মিজোরামে চলে গেছে।
তাদের মিজোরামে চলে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রুমা থানার ওসি মুহম্মদ আলমগীর বলেন, বম জনগোষ্ঠির লোকজন নিরাপত্তাজনিত কারণে মিজোরাম চলে যাচ্ছে। ওখানে তাদের আত্মীয় স্বজন আছে। আর তারা নিয়মিত যাওয়া আসা করে মিজোরামে। এখন অভিযান চলায় তারা চলে গেছে। কেউ তাদের চলে যেতে বাধ্য করেনি।
ওসি বলেন, কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা তো তাদের পরিবারেরই সদস্য। তারা জানে কারা কোথায় আছে। কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিযান চালানো হলে সেখানে গোলাহুলি ঘটনা ঘটতে পারে। তারা আতঙ্কিত হতে পারে।
বিবিসি বাংলা মাধ্যম থেকে জানা গেছে, গত বছর নভেম্বর মাস থেকে বম জনগোষ্ঠির লোকজন মিজোরামে আশ্রয় নিতে শুরু করে। তখন থেকেই মিজোরাম জনগণ ও তাদের সরকার বমদের খাদ্য, আশ্রয় সহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। দক্ষিণ মিজোরামের লংৎলাই জেলার ৫টি গ্রামে প্রায় ১৩২ পরিবারের ৫৮৮ জন সদস্য মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বান্দরবানের বমরা স্বীকার করেছে, তাদের বাড়ির আশেপাশে অভিযান চলা ও গুলিগোলার আতঙ্কে তারা পালিয়ে মিজোরামে চলে গেছে। তাদের এলাকা থেকে নভেম্বরে ১৪ জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
কঁশর ঈযরহ ঘধঃরড়হধষ ঋৎড়হঃ (কঘঋ) ঝঃধঃব ঘবংি নামের একটি ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে লাল ডেভিড বম নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের বম জনগোষ্ঠী জন্য সুসংবাদ- ইতিমধ্যে ভারতে মিজোরাম সরকার মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাং থেকে জানানো হয়েছে প্রত্যেক বম জনগণদেরকে মিজোরামে জনপ্রতি ৫ একর জমি দেওয়া হবে চাষবাস করা জন্য। আর মিজোরামে সোনা ও হিরা খনিতে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক পরিবারকে দু’তলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। তাই দেশে মধ্যে যারা এখনো আসে বিশেষ করে বম জনগোষ্ঠী- তোমরা তোমাদের সরকারি চাকরি বা এনজিও চাকরি কিংবা যা কিছু আছে সব কিছু ছেড়ে তাড়াতাড়ি চলে আস মিজোরামে। . . . . . . .সময় থকতে সবাই চলে আসুন মিজোরামে।
Discussion about this post