চট্টগ্রাম,১৪ এপ্রিল,২০২৩:
আজ পয়েলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে নানা আয়োজনে বাঙালি জাতির এই সার্বজনীন দিনটি সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে নতুন বাংলা বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দুজনের শুভেচ্ছা বাণীতেই প্রত্যাশা সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগোনোর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের চরণ “বরিষ ধরার মাঝে শান্তির বারি” প্রতিপাদ্যের ব্যানার ও নানা ফুল পাখি প্রাণির অবয়ব ও মুখোশ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় সকাল নয়টায়। শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সকল বাঙালি তাদের হৃদয়ের সকল ভালোবাসা ও আবেগ-অনুভূতি-চেতনা নিয়ে যোগদান করে নববর্ষের প্রথম সকালে। ঢল নামে মানুষের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিদেশিরাও অংশ নেন। তবে কঠোর নিরাপত্তার বেষ্ঠনি ছিল নববর্ষের কর্মসূচিতে।
পয়েলা বৈশাখ ও নববর্ষ উদযাপনে ঢাকা সহ সারাদেশে নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করে ছায়ানট, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ছায়ানট রাজধানীর রমনা বটমূলে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নব আলোর সন্ধান করার আহ্বানে।সূর্য উদয়ের সঙ্গে আহির ভৈরব সুরে সারেঙ্গিবাদনের মধ্যে দিয়ে রমনা বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন।
এদিকে পয়েলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে আজ সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে পয়েলা বৈশাখকে আবাহন করে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, এসপি এসএম শফিউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু।
বক্তারা বলেন, বাঙালির সার্বজনীন উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। এই বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে আমরা সকল হীনমন্যতাকে হটিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি লালনে একাত্ম হব। যে কারণে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াইও ছিল।
পরে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে নববর্ষের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া চট্টগ্রামের পয়েলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ সিরবির শিরিষ তলায় আয়োজন করেছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।
Discussion about this post