চট্টগ্রাম, ৩০ মে, ২০২৩:
সম্প্রীতির বান্দরবানে কেএনএফসহ পাহাড়ি[ সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বান্দরবান জেলায় বসবাসরত ১২ জনগোষ্ঠির শীর্ষ নেতাসহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কারবারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ৩০ মে, সোমবার বান্দরবান অরুন সারকী টাউন হলে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সভায় প্রথমার্ধে বিভিন্ন জনগোষ্ঠির মতামত নেওয়া হয়। পরবর্তী এই নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি পাহাড়ে আলোচনায় আসা কেএনএফ এর সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং বিপথগামী যুবকদের শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয় সভায়। এসময় বম জনগোষ্ঠির র্শীষ নেতারা কিছুসংখ্যাক বিপথগামী মানুষের জন্য পুরো বম জনগোষ্ঠিেকে দোষারোপ না করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পাহাড়ে শান্তি ফিরে আনার জন্য তাদেরও সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে জানান। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী,¤্রাে নেতা খামলাই ¤্রাে, সিংইয়ং ¤্রাে, এড.খুশি রায় ত্রিপুরা, সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, হ্লাথোয়াইরী, বম এসোসিয়েশনের সভাপতি লালথার নাক বম, বম সোস্যাল কাউন্সিল সভাপতি লাল জার বম, উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যা, কিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, আইত্যা খুমি, জনি খেয়াং, সাংবাদিক বুদ্ধ্যজ্যোতি চাকমা, ধীরেন্দ্র ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ ব্যাক্তিরা মতামত তুলে ধরেন।
সভায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা বলেন, কেএনএফসহ অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপ কিভাবে শান্তির পথে ফিরে আসবে, সেই বিষয়ে আমরা বিভিন্ন নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মতামত জানতে পেরেছি। জাতিগত অবিশ্বাস রয়েছে, তা দূর করে কিভাবে সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বসবাস করা যায়, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, কিভাবে সুপারিশ করলে শান্তি ফিরবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লাল থাক নাথ বম বলেন, বম বিপথগামী যুবকদের শান্তির পথে ফেরাতে আমরা কাজ করছি, এই বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি খুশি রায় ত্রিপুরা বলেন, কেএনএফ এর কার্যক্রমের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ, তাই এই বিষয়ে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রেভারেম কেরেমা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির শিকার হয়ে যারা ভিকটিম তাদের সহায়তা করতে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
মারমা এসোসিয়েশনের সভাপতি মং চিং নু মার্মা বলেন, এখন জুম চাষের সময়,শত শত পরিবার এলাকা ছাড়া,পরিস্থিতির উত্তোরণ না হলে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবেনা, তাই এই বিষয়ে এখনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
মত বিনিময় সভায় জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির তরুণ-তরুণী ও প্রবীণসহ ৪শতাধিক মানুষ উপস্থিত থেকে বান্দরবানে কেএনএফসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠির অপরাধ কার্যক্রমের চলমান সংকট উত্তরণে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হয়।