চট্টগ্রাম, ৩১ মে, ২০২৩:
করোনা সংক্রমন বাড়ার সাথে সাথে তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হচ্ছে করোনা টিকার কার্যক্রম। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে করোনার টিকা এসে পৌছেছে। কাল ১ জুন থেকে টিকার কার্যক্রমও শুরু করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, টিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ১জুন থেকে কার্যক্রম শুরুর কথা বলা হয়েছে। আমরা উপজেলা পর্যায়ে টিকাগুলো পাঠাতে শুরু করেছি। যেসকল জায়গায় টিকার কার্যক্রমের ব্যবস্থা আছে সেখানে টিকা দেওয়া শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী গত ২৫ মে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ড্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ৪র্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬০ বছর বা ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী (ইম্যুনোকম্প্রোমাইজ), গর্ভবর্তী মা এবং ফ্রন্ট লাইনারদের ভিসিডি ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এছাড়াও ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সব জনগোষ্ঠী ২য় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের কমপক্ষে ৪ মাস পর তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন ও তৃতীয় ডোজ প্রদানের কমপক্ষে ৪ মাস পর চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
অন্যদিকে গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেয়নিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিন ৩য় ও ৪র্থ ডোজ হিসেবে এ সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা/ উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮.৫১ ভাগ মানুষকে ১ম ডোজ, ৮২.১৮ ভাগ মানুষকে ২য় ডোজ, ৩৯.৬২ ভাগ মানুষকে ৩য় ডোজ এবং ১.৮৫ ভাগ মানুষকে ৪র্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post