চট্টগ্রাম, ১ জুলাই, ২০২৩:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব চারপাশ।দীর্ঘদিনের এই সমালোচনার মধ্যে এবার সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি। এবং
দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর জন্য দায়ি ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ ১ জুলাই, শনিবার খুলনা নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রোটারি ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট ইয়ার লাঞ্চিং অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সিন্ডিকেট ভাঙ্গার। সিন্ডিকেট তো একদিনে গড়ে উঠেনি। দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তাই ভাঙ্গতে সময় লাগছে।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট ভাঙ্গার কাজ চলছে তা তিনি বলেননি। এর আগে গতকাল তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সিন্ডিকেটের মাথায় হাত বুলিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব।
অবশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি স্বীকার করলেন, দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে। ঈদের আগে সোমবার সংসদের বৈঠকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য দেওয়া বরাদ্দ পাস হয়। তার আগে বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদলীয় সদস্যরা বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির জন্য বিশেষত বাণিজ্যমন্ত্রীকে ‘সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা’ হিসেবে দায়ী করে তার কঠোর সমালোচনা করেন। সে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে-মঙ্গলবার সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে- মন্ত্রী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব স্বীকার করে বলেন, ‘এটা ঠিক, বড় বড় গ্রুপ একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে।’
সংসদে বলেছেন, বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জটিলতা আছে।
ওইদিন তার ব্যর্থতা তুলে ধরে প্রথমে আলোচনার সূত্রপাত করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। এসময় আলোচনায় সংসদ সদস্যগণ বাজার সিন্ডিকেটের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রী জড়িত কি না, এমন প্রশ্নও তোলেন।
জাতীয় পার্টির এমপি রুস্তম আলী ফরাজী বলেছিলেন, ইচ্ছা করলে অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন ব্যবসাটা আমারই, তাহলে এটা দেশ ও জনগণের জন্য দুঃখজনক।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব পড়ছে না। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ, এখন মনে হয় ১০ শতাংশ এবং এটা ক্রমবর্ধমান। মূল্যস্ফীতির কারণে সাবান, রুটি সবকিছুরই আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আছে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সিন্ডিকেট শক্তিশালীও। কিন্তু তারা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী?
শুধু সংসদে নয়, বাজারে বিশাল সিন্ডিকেট যে কাজ করছে এ ব্যাপারে সমালোচনা করছেন বাজার বিশ্লেষকরাও।
তবে এখন কথা হচ্ছে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি। কোন প্রক্রিয়ায় ব্যুহচক্র ভাঙ্গবেন তিনি?
Discussion about this post