চট্টগ্রাম, ৮ জুলাই, ২০২৩:
পশ্চিমবঙ্গে শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনেই মারা গেলেন ১৭জন। ভোট শুরুর আগে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত মারা যান ১৮জন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর গত এক মাসে ভোটের দিনের মৃত্যু নিয়ে সব মিলিয়ে ৩৯ জন এ বছর রাজনৈতিক হিংসায় মারা গেলেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
নানাভাবে চেষ্টা করেও শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা গেল না। ভোটে হিংসার ঐতিহ্যই বহাল রইল ভারতের এই রাজ্যটিতে।
আহতদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। শাসক দল তৃণমূলের দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাদের দলের সমর্থক। নিহতদের মধ্যে তৃণমূলের একজন প্রার্থীও আছেন।
খুন, সন্ত্রাসের অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমঙ্গে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছেন।
শনিবার ভোট শুরুর পর থেকেই রাজ্যের উত্তর প্রান্তে বাংলাদেশ লাগোয়া দিনহাটায় তুমুল গোলমাল শুরু হয়। পরে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বর্ধমান থেকে গোলমালের খবর আসে। প্রকাশ্যে বোমা, বন্দুক, বাঁশ, লাঠি হাতে হামলা, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া, প্রার্থীকে মারধরের মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। চলে ভোট কর্মীদের উপর হামলা। তবে তা কয়েকটি এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও সীমিত এলাকার মধ্যেই ১৭জনের প্রাণ যায়।
তারমধ্যে তৃণমূলেরই আটজন বলে দলের দাবি।
আগামী মঙ্গলবার ফল ঘোষণার পর জানা যাবে মানুষের রায় কোন দিকে গিয়েছে।
ভারতের এই রাজ্যটি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী হিংসার ঘটনায় কলঙ্কিত। এখানে রাজনীতি, ভোট ঘিরে মারামারি, কাটাকাটি, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা, লুঠ, ধর্ষণ প্রচলিত অপরাধে পরিণত হয়েছে।
শনিবার ভোটের দিন কত মানুষের প্রাণ যেতে পারে সেই আলোচনাই ছিল মুখে মুখে।
এবার ভোটের ঘণ্টা বাজার সময় থেকেই রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে কড়া চাপের মধ্যে রেখেছিল কলকাতা হাই কোর্ট এবং রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবার ভোট পরিদর্শনে রেরিয়ে এক জায়গায় ঘেরাও হয়ে যান। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার দাবি তোলেন।
Discussion about this post