চট্টগ্রাম, ০৩ আগস্ট, ২০২৩:
এ বছর বর্ষা শুধু মৌসুম গণনায়। বাস্তবে বর্ষার বৃষ্টি দেখা গেছে খুৃব কমই। আষাঢ় মাসে কিছুটা বৃষ্টি হলেও শ্রাবণে বলতে গেলে বৃষ্টির দেখা মিলেনি।
এর মধ্যে শ্রাবণের প্রায় অর্ধেক শেষ। আজ ১২ শ্রাবণ। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির ধারা খুব প্রবল নয়। সাগরে নি¤œচাপ সৃষ্টি হওয়ায় শুৃরু হয়েছে এই বৃষ্টি। সারাদিনের টানা বৃষ্টিও নয়। তবে গতকাল বিকাল থেকে শুরু কওে রাত অবধি বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বর্ষণ না হলেও জনজীবনে স্বস্তি এসেছে। কারণ শ্রাবণে শুরু হয়েছিল বৈশাখের তপ্ত গরম। গরমে হাসফাঁস করছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ।
কিন্তু গতকালের পর আজও সকাল থেকে শ্রাবণের ধারা ঝরছে। সাধারণ বর্ষণই। তবে জনজীবনের কিছুটা ছন্দ পতন হরেয়ছে এই বৃষ্টিতে। সকালে রাস্তাঘাটে অন্য দিনের মত মানুষের চলাচল ও ব্যস্ততা দেখা যায়নি। যানবাহনেও মানুষের ভিড় ছিল কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে । আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে আরও জানায়, খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বিহার এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিন্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এছাড়া বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়: ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তবে বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বাদুরতলা ও চকবাজার এলাকা সহ কিছু কিছু নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post