চট্টগ্রাম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের(বিপিসি) আশ্বাস পেয়ে সংগঠনটি ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আজ রবিবার বিপিসির সাথে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক নেতারা।
বিপিসির পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপম বড়–য়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট স্থগিতে রাজি হয়েছেন। তাদের দাবি নিয়ে বিপিসি কাজ করছে।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিপিসির এই কর্মকর্তা।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার ভোর থেকে সারাদেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন পরিবহন ও বিক্রিতে ধর্মঘট পালন শুরু করে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকেদের একাংশ।
তবে সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রাম নগরীর কোথাও। সব জায়গায় পাম্প খোলা ছিল তবে তেলের ডিপোগুলোতে তারা তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় তেল সরবরাহে ঘাটতি হয়েছে। যার কারণে কিছু পাম্প তেল দিতে পারেনি। রবিবার নগরীর বিভিন্ন পাম্পে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক দেখা গেছে।
সকালে বাকলিয়া এলাকার কর্ণফুলী ফিলিং স্টেশনে তেল না থাকায় মোটর সাইকেলে তেল বিক্রি করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাদের কর্মচারীদের দেয়া তথ্যমতে, তেলের জন্য ভাউচার ডিপোতে গেছে। সেখান থেকে তেল আসলে আমরা বিক্রি করতে পারবো।
এছাড়া খুলশী এলাকার শাহ আমিন উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. ফজলু বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা জ্বালানি তেল বিক্রি করছি। আমার ভাউচারও সকালে তেল নিয়ে এসেছে। তাছাড়া আমরা কোন লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তাই স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান।’
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নামে যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয় জানিয়ে সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক দ্রুত এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামের কোনো পেট্রোল পাম্প বন্ধ নেই। তবে তেলের ডিপোগুলোতে তারা তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় তেল সরবরাহে ঘাটতি হয়েছে। যার কারণে কিছু পাম্প তেল দিতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধর্মঘট ডেকেছে তাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনই সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত। বিভিন্ন সময়ে তারা ২৩ বার এ ধরনের ধর্মঘট ডেকেছে, আবার প্রত্যাহার করেছে। এবার আমাদের দাবিগুলো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বলেছেন ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি দাওয়া সব মেনে নেওয়া হবে। আমরা ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলন করছি। আরেকটু সময় আমরা সরকারকে দিতে চাই।’
তবে ধর্মঘটে দেশের কোথাও কোথাও তেল উত্তোলন ও সরবরাহ দিনভর বন্ধ ছিল সংবাদ মাদ্যমগুলো লিখেছে।
Discussion about this post