চট্টগ্রাম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সংসদ সদস্যদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন।
বাণিজ্য সংস্থা (সংশোধন) বিল, ২০২৩-এর আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি ব্যবসা ভালো বোঝেন।
সংসদে একাধিকবার সিন্ডিকেটের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। মানুষ যখন বাণিজ্যমন্ত্রীকে সিন্ডিকেটের মালিক বলা শুরু করে, তখন তিনি সত্য বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটকে ছোঁয়া যাবে না।
মুকাব্বির বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেট ভাঙতে কাঁচা মরিচ শুকানো, ডিম সিদ্ধ করা, ফ্রিজে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছেন।
‘আমরা অনেক উপকৃত হতাম যদি আগে এই পরামর্শগুলো পেতাম। কারণ মৃত্যুর পর ডাক্তার আসে।’জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এখন সময় দরিদ্রদের রক্ষা করার। এই মন্ত্রণালয় কম দামে মানুষকে জিনিস দিতে পারে। এটি বাজারে ভারসাম্য তৈরি করতে পারে,’ তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন বলেন, সিন্ডিকেটের মতো ব্যবসাও ভালো বোঝেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সে কারণেই সে বলেছে যে কেউ সিন্ডিকেটকে স্পর্শ করলে ওই ব্যক্তির হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী কেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেননি তা তিনি জানেন না।
সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পণ্যের দাম নিয়ে সিন্ডিকেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ দুর্ভাগ্যক্রমে আমি একজন ব্যবসায়ী। এই সংসদে আমাকে বহুবার বলতে হয়েছে যে, আমি ব্যবসায়ী হওয়ার অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে ছিলাম। রাজনীতি শুরু করার ২০ বছর পর আমি ব্যবসা শুরু করি,’ তিনি বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে সেই অপরাধে আমি দোষী।
বৈশ্বিক কারণ এবং কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণের কারণে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম মাঝে মাঝে বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করি না যে, মাঝে মাঝে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে সুবিধা নেয়।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি একটি বাস্তবতা।
তিনি উল্লেখ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে তার মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করেছে।
‘আমরা এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি। কিন্তু এটাও একটা বাস্তবতা যে, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবকিছু দেখছেন।
বিদ্যমান আইনে কিছু পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ট্রেড অর্গানাইজেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩, সংসদে পাস করা হয়েছিল।
Discussion about this post