চট্টগ্রাম,১২ অক্টোবর, ২০২৩:
সরকারের মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। এটি আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এই উপলক্ষে আজ সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মনজুর হোসেন। সভায় জানানো হয় টানেল ব্যবহারের নিয়মাবলী ও সুযোগসুবিধা সম্পর্কে।
#কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
#২৯ অক্টোবরের আগে টানেলে সাধারণ মানুষ কেউ যেতে পারবে না।
#টানেলের যে ডিজাইন করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলতে পারবে।
#সড়ক দুর্ঘটনা রোধে টানেলে দুই বা তিন চাকার গাড়ি চলাচল আপাতত নিষেধ।
#ইমার্জেন্সি গাড়ি ও প্রশাসনের অন-ডিউটিরত গাড়িকে টোলের আওতায় আনা হবে না। আর সব গাড়িকে টোল দিতে হবে।
# টোল ২০০ টাকা থেকে সব্বোর্চ ৬০০ টাকা।
#এখনো টানেলে যে ১ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে যা চলাচলে জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।
#মূল টানেলের কাজ শতভাগ শেষ।
#৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু টানেল কর্ণফুলী নদী তীরের দুই অঞ্চলকে যুক্ত করবে।
#টানেলে যুক্ত হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কও।
#টানেলে প্রবেশের আগে যেসব গাড়ি এফএম রেডিও চালু করবে, তারা টানেল ব্যবহারের নীতিমালা রেডিওতে শুনতে পাবে। টানেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেডিওতে এই নীতিমালাগুলো প্রচার করা হবে।
#টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমবে।
#পুলিশের পক্ষ থেকে ফাঁড়ি, ডাম্পিং, স্টেশন করা হবে।
#অপারেশনের দায়িত্বে যারা থাকবে, মেটেইনেন্স যারা করবেন তাদের নিজস্ব যানবাহন থাকবে।
#টানেলের আরও একটি বড় লক্ষ্য হচ্ছে- কক্সবাজারে কিছু বড় প্রকল্প হচ্ছে। আগামী দুই চার বছরের মধ্যে সেই প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য টানেল ব্যবহার করা হবে।
Discussion about this post