চট্টগ্রাম, ০২নিভেম্বর, ২০২৩:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলটি তার মিত্রদের সাথে আসন ভাগাভাগি এবং দলের ডামি প্রার্থীদের সাথে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে এমন আলোচনার মধ্যে বৈঠকটি ডাকা হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি শাহাদাত হোসেন রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকে আসন ভাগাভাগির অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ-মহাজোটের শরিকরা।
তিনি বলেন, ‘গণভবনে আ.লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের বৈঠকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি মিটিংয়ে যোগ দেব,’ বলেন রাশেদ খান মেনন।
গত ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ও জোটের শরিকদের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক হয় এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে জোটের শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে এবং এ কারণে তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন বলে জোটের শরিকরা জানিয়েছেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তিনটি সাধারণ নির্বাচনে জোটের শরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা নিয়ে ঢাকা-৮ থেকে সংসদ সদস্য হন।
আগামী নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পাবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
ঢাকা-৮ এর মতো, আওয়ামী লীগ অন্যান্য আসনেও প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে যে গুলোর মধ্যে কোনো কোনো আসনে জোট ও মহাজোটের শরিকরা গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।
তবে কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫-এ দুটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখনো ঘোষণা করা হয়নি, যে দুটি আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির একেএম সেলিম ওসমান।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, তারা ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিগত নির্বাচনের মতো জোটের সব নেতার বক্তব্য ও তাদের দাবি-দাওয়া শুনবেন। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে জোটের কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে।
Discussion about this post