চট্টগ্রাম, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪:
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেইটে স্ক্যানার উদ্বোধন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার অভ্যন্তরে ৪ নম্বর ও সিপিএআর গেট সংলগ্ন এলাকায় এ স্ক্যানার দুইটি স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২টি রপ্তানিমুখী গেটে ২টি কন্টেইনার স্ক্যানার, ২ সেট রেডিও একটিভ পোর্টাল মনিটর, স্ক্যান্ড ইমেজ মনিটরিং সেন্টার, রিয়েল টাইম সিসিটিভি ও ইমেজ মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কার্গো রপ্তানির ক্ষেত্রে কার্যকর প্রয়োগ ও স্বেচ্ছা পরিপালনের মাধ্যমে বিদ্যমান কার্গো পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রচলিত ব্যক্তি কর্তৃক হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা সম্ভব হবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, বাণিজ্যিক ব্যয় হ্রাস করাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হবে। স্ক্যানার দুটি স্থাপনের ব্যয় হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা। প্রতিটি স্ক্যানার দিয়ে ঘণ্টায় ১৫০টি কন্টেইনার স্ক্যান করা যাবে।
এ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন হয় ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। সর্বনিম্ন দরদাতা ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটের দরপত্র ওই বছরের ২৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। ১২ ডিসেম্বর কার্যাদেশ, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি চুক্তি সম্পাদন এবং ২৭ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। আইএসপিএসের আলোকে বন্দরের সব রপ্তানি গেটে কনটেইনার স্ক্যানার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলো বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আগে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আসত, স্ক্যানার দুটি চালু করার মাধ্যমে এখন সেটি কেটে যাবে। আগে বন্দরে শুধু আমদানি পণ্য স্ক্যানিং করা হতো, এখন এ দুটি স্ক্যানারের মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যও স্ক্যানিং করা হবে। তাই রপ্তানি পণ্য নিয়ে যেসব কথাবার্তা হতো, এখন সেটি আর হবে না।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে হবে। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর রপ্তানি পণ্যের জন্য দুইটি স্ক্যানার বসানোর খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন। বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা তিন চার বছরেই সমাধান হয়েছে, এটা বড় প্রাপ্তি!
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে এ বছরে কাজ শুরু হবে। তখন মেরিটাইম সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে। ডেনমার্ক ও সৌদি আরব পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ। এছাড়া বে টার্মিনালের কাজ শুরু হলে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ঢুকতে পারবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলেই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) সৌদি আরবের কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি) পুরোপুরি অপারেশনে চলে যাবে বলে জানান নৌ পরিবহন মন্ত্রী।