চট্টগ্রাম,২৮ মে, ২০২৪:
দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সাগর উত্তাল থাকায় সন্দ্বীপে গুরুতর আহত শিশু রহমানকে উন্নত চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রামে আনা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে শিশু রহমান (১০) সন্দ্বীপ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল।
শিশুটি গুরুতর আহত হলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে গত রবিবার বিকাল ৬ টা থেকে শিশুর বাবা হেদায়েত তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার জন্য সন্দ্বীপের বিভিন্ন ফেরিঘাটে ছুটাছুটি করেছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় নৌযান ছাড়া সম্ভব হয়নি। যদিও জরুরিভাবে তাকে স্থানীয় মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়।
শিশুটির নাক দিয়ে তখন অনববরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সন্দ্বীপ থেকে সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। হেলিকপ্টার ভাড়া করতে চেয়েও ব্যর্থ হয় তার অভিভাবকরা। ফলে সারারাত এবং পরদিনও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতালের বারান্দায় সময় কাটিয়েছে তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে সন্দ্বীপের সন্তোষপুর-ডোমখালী ফেরিঘাটের ইজারাদার নুরুল আমিন বলেন,রবিবার রাত থেকে আহত শিশুটিকে পারাপারের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া মোটামুটি ভাল হলে তার পারাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগর এখনো উত্তাল।
স্থানীয় সাংবাদিকের বরাতে জানা গেছে, শিশুটির নাকমুখ দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর রক্ত বের হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তার মা-বাবা পরিবার- পরিজনের তাকিয়ে তাকিয়ে এই কষ্ট সহ্য করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।