চট্টগ্রাম, ২৩ আগস্ট, ২০২৪:
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপও অবিরাম বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী, চার লাখ মানুষ পানিবন্দি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের অনেক জায়গা জলমগ্ন।
অর্ধ শতাধিক সাম্পান, জীবনরক্ষাকারী নানা সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবিরা ছুটছেন ফেনী ও কুমিল্লার বানভাসি মানুষকে বাঁচাতে।
বন্যা কবলিত কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন মানুষের মৃত্যু।
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, কর্ণফুলী, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া সহ ১০ উপজেলার ৯৪ টি ইউনিয়ন বন্যার কবলে পড়েছে।
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট নতুন ব্রিজ এলাকায় হালদার তীররক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে।
ফেনী–কুমিল্লা– লাকসাম– আখাউড়া–ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটের মৌলভীবাজার–হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে চট্টগ্রামের সাথে বন্ধ সারাদেশের ট্রেন চলাচল।
জোয়ারের পানি আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার রেল লাইন কোথাও কোথাও পানিতে ডুবে গেছে, বন্ধ কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল।
বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ৮ গ্রাম প্লাবিত।
ব্যাপকভাবে বন্যাকবলিত হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা।