চট্টগ্রাম,২৮ নভেম্বর, ২০২১:
ভূমিকম্পে সচেতনতা সৃষ্ট ও করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ ২৮ নভেম্বর সকালে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম- ইউএসটিসি’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়। ইউএসটিসি গবেষণা সেল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে আমাদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভূমিকম্প হলে আমাদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হবে। এ ধরনের জায়গাগুলো সবসময় নির্ধারণ করে রাখতে হবে। শ্রেণীকক্ষে ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন কর্মস্থলে নিরাপদ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে।
তিনি অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল প্রযুক্তি ও প্রকৌশল মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবন নির্মাণে কোনো গোজামিল বা ভুল করলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। এজন্য সরকারি ভবন নির্মাণ বিধি মানতে হবে।
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ভূমিকম্পের পাঁচটি উৎপত্তিস্থল রয়েছে বলে জানান তিনি। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে শক্তি সঞ্চয় করছে।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে তিনি জনসচেতনতার জন্য তথ্যগুলো সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন।
গত ২৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ৬.১ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প কেঁপে উঠে সারাদেশ। এই ভূমিকম্পে চট্টগ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকক্ষণ স্থায়ী এই ভূমিকম্পে বহুতল ভবন ভেঙ্গে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কে পড়ে যায় মানুষ।
এর মধ্যে আবার প্রায় ৩৩ ঘণ্টার ব্যবধানে গতকাল বিকাল ৩.৫০ টায় আবার ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারে। শুক্রবার সকাল ৫.৪৫ টার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের চিন রাজ্যের হাকায়।
Discussion about this post