চট্টগ্রাম, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১:
দরবেশ ঘূর্ণন। কিন্তু দরবেশ নাচও বলা যায় দরবেশ ঘূর্ণনকে। এই নাচের চেয়েও নাচের নানা ভঙ্গি বা মুদ্রাগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়।
নাচ শুরু হলে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার বছর পূর্বের মানবগোষ্ঠির সাধনার এক সার্বজনীন রূপ। মানুষ যে তার মনের ঈশ্বরকে খুঁজে পেতে উপাসনা করে আসছিলেন তার একটা রূপ দরবেশ ঘূর্ণন। অর্থাৎ নিজকে খোঁজা বা নিজেকে জানা। রুমি এই দরবেশ ঘূর্ণনের উদগাতা। রুমির পিতাও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ। তার পুত্র রুমিই জগতজোড়া খ্যাতি লাভ করেন সেই আধ্যাত্মিক শিক্ষা, দীক্ষা ও সাধনায়। ধর্মকে শিল্পমণ্ডিত করে তুলেন আল্লামা রুমি। কবিতা, গান সবকিছুর মাধ্যমে অন্য অনেককে ছাড়িয়ে যান এই সাধক পুরুষ।
তারই এই আধ্যাত্মিক সংস্কৃতির ধারক আজকের তুরস্ক।
মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত তার্কি অ্যাম্বেসি ও এসজেডএইচএম(শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি) ট্রাস্ট আয়োজিত খুলশির একটি কনভেনশন সেন্টারে গতকাল আয়োজন করা হয় সুফি এনকাউন্টারস সেমিনার
ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সেখানে পরিবেশিত হয় দরবেশ ঘূর্ণন বা দরবেশ নৃত্য। তুরস্কের চার শিল্পী Mr. Ishak Urun, Mr.Burak Malcok, Mr. Hasan Hekimoglu, Mr.Seyit Celik এর মধ্যে দুই জন দরবেশ নৃত্য পরিবেশন করেন।
সেমিনারে বক্তব্য রেখেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তুরস্কের অ্যাম্বাসেডর এইচ ই উসমান তুরান। সভাপতিত্ব করেছেন সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারি।
এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দরবেশ নৃত্য।
তুরস্কের এই দুই শিল্পী প্রথমে দুই দফায় একক দরবেশ নৃত্য পরিবেশন করেন। একজনের পোষাক(কস্টিউমের অংশ) ছিল লাল, অন্য জনের কালো। দ্বিতীয় বার দ্বৈত পারফরমেন্সে তাদের উভয়ের পোষাক ছিল সাদা। দরবেশ ঘূর্ণনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- এক নাগাড়ে এন্টি ক্লকওয়াইজ হয়ে ঘোরা। শুধু ঘুরলে তো আধ্যাত্মিক অনুভূতির হয়তো কিছুই পাওয়া হবে না। সেখানে দুই হাতের নানা ভঙ্গিমা আছে। জ্যামিতিক কোণে। শরীরেরও জ্যামিতিক ভঙ্গি আছে। শিল্পীরা যখন হাত দুটো উপরের দিকে তুলে ধরে তখন নদীয়ার ভাব আন্দোলনের গৌরাঙ্গের নাম কীর্তনের ভঙ্গিটা উঁকি দেয়। উপরের দিকে দুই হাত তুলে ধরার মুদ্রাটা অনেকটা সেই গৌর-নিতাইয়ের মত। তবে গৌর-নিতাইয়ের দুই হাতের আঙ্গূলের মুদ্রা উর্ধ্বপানে থাকে। আর দরবেশ শিল্পীদের সম্ভবত ওদের বাঁ হাতের আঙ্গুলগুলো একটু অক্ষম ভঙ্গিতে নিচ
Discussion about this post