চট্টগ্রাম, ৮ জুন, ২০২৫:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিরোধে প্রতিপক্ষের লোহার রডের আঘাতে মো. দিদারুল ইসলাম (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আজ রোববার দুপুরে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭জুন মধ্যরাতে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওদিঘী এলাকার ফয়েজুর রহমান সওদাগরের বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সরোয়ার আজম (৫১), নাজিম উদ্দিন (৩৫), নুরুল আজিম প্রকাশ বাদশা (৩৪) ও সাইফুল আজম (৪২) নামে চার সহোদরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন। তারা এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে এবং নিহত দিদারুলও একই এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্তদের দাবি, মসজিদ কমিটি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে অহেতুক এ ঘটনায় তাদের জড়ানো হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেওদিঘী বাজার এলাকার দেওদিঘী শাহী জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে মামলার বিবাদি জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য বিবাদিদের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকত। পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিত বিবাদিরা।
মামলার বাদি শহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে আমার এক ভাতিজার বিয়ে উপলক্ষে আমাদের পারিবারিক বৈঠক চলছিল। এ সময় সরওয়ার আজমের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল লোহার রড ও অস্ত্র নিয়ে আমাদের উঠানে এসে হঠাৎ সিসি ক্যামেরা ভাংচুর শুরু করে। এ সময় আমি ও আমার ভাই দিদারুল ঘর থেকে বের হয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে আবু তাহেরের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ভাই দিদারুলকে বুকে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত মো. আমানুল্লাহ শহিদুলের বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন , আমরা ঘটনাস্থলে যায়নি। দিদারুল অনেক আগে থেকে অসুস্থ ছিল। তিনি এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। উনাকে মারার প্রশ্নই উঠে না।
আমানুল্লাহ আরও বলেন, দিদারুলকে যখন অসুস্থ অবস্থায় ট্যাক্সিতে তোলা হচ্ছিল তখন আমরা সরওয়ারের বাড়িতে কি হচ্ছিল বিষয়টি জানার জন্য কয়েকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দেখলাম দিদারুল ইনহেলার নিচ্ছিল। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার মূল বিষয় উদঘাটন করা উচিত। এখানে মসজিদের কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়টি সঠিক নয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। চার সহোদরকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।