চট্টগ্রাম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরির্শক পার্থ গোপাল বণিককে কারাগারে এবং স্ত্রী হত্যার মামলার বাদি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় আজ বিচারক আট বছরের কারাদ- ঘোষণা করায় ডিআইজি াপ্রজন পার্থ গোপাল বণিককে। আজ রোববার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ।
পার্থ গোপালের বাসা থেকে ২০১৯ সালে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। অপরাধমূলক অসদাচারণ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
মামলার দুটি ধারায় পার্থ গোপাল বণিককে ৫ বছর ও ৩ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। এছাড়া জরিমারা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানা না দিলে আরও ৩ মাস জেল খাটতে হবে পার্থ গোপাল বণিককে। তবে দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে কার্যকর হলে তাকে জেল খাটতে হবে ৫ বছর।
এদিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম আজ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনের প্রেক্ষিতে স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন বাবুল ও মিতু দম্পতির ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে হত্যার পর তার স্বামী বাবুল আক্তার অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার কয়েক মাস পর পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল। এবং তার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্তার তথ্য পায় পুলিশ। এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।
পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত তাকে তার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাবুল আখতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যার ঘটনায় তার শ্বশুরের বাদি হয়ে করা মামলায় বাবুল আখতারকে গত ১২ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এদিকে বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, একই ঘটনায় দুটি মামলা একসঙ্গে চলতে পারে না। আবার একই ঘটনায় দুই মামলাতেই গ্রেপ্তার কী করে হয়? শুনানিতে সবই বলেছি। যা হবার উচ্চ আদালতে হবে।
Discussion about this post