চট্টগ্রাম, ৭ নভেম্বর, ২০২৫:
গণভোটের দিন নির্ধারণ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মতদ্বৈততা এখন চরমে। বিএনপি-জামায়াতের পরস্পরের মধ্যে চলছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আবারো গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত হচ্ছে।
জামায়াত চাইছে – জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট। বিএনপি চাইছে- জাতীয় সংসদের দিন গণভোট।
এ ব্যাপারে জামায়াত সহ সমমনা আটটি ইসলামী দল ১১ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের দাবি করেছে জামায়াত সাথে কিছু দল। তারা চায়- জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট কিন্তু বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের কথা বলছে।
রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় সরকার এ বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলোর উপর ছেড়ে দেয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ৬ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোর টাউনহল ময়দানে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেছেন, তারা ঐক্যমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মত নয়, সংস্কার কমিশনের সব সময় আমরা গিয়েছি, মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সেগুলো হয়নি। কিন্তু তা না করে তারা পক্ষপাতদুষ্টু হয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
গত সোমবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দেওয়ায় দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তি সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সেই আহ্বান জানানো হয়েছিল।
কিন্তু সরকারের আহবানের চার দিন অতিক্রম করলে এ ব্যাপারে গতকাল সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব পলিটিক্যাল পার্টি গুলো নিজেরা নিজেরাই পুরো বিষয়গুলোতে একটা ডিসিশন আসবে। কি ডিসিশন হবে সে বিষয়ে এখনও প্রস্তুতিমূলক অনেক মিটিং হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, আন-অফিসিয়ালি তো কিছু ডিসকাশন হচ্ছে। সাতটি দিন তাদের জন্য বলা হয়েছে। এখন পলিটিকাল পার্টিগুলো যদি কোনো ডিসিশন না নেন, তো আগেই আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই একটা ডিসিশন নেবে।







