চট্টগ্রাম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২:
বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে মাঝ ধরার ট্রলার ডুবে অন্তত ৩০ জন জেলে-মাঝি নিখোঁজ হয়েছেন। বরগুনা-পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়। আর দুবলার চরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে অন্তত ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে ৩০ জন জেলে-মাঝি নিখোঁজ হন।
তবে রাতে ঝড় থেমে যাওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে না পড়া কিছু ট্রলার ভাসমান কিছু জেলেদের উদ্ধার করে। এরপরও ৩০ জন জেলে নিখোঁজ থাকার কথা জানান ফিরে আসা জেলে-মাঝিরা।
আজ শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলে-মাঝিদের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। তারা নিখোঁজ জেলে মাঝিদের খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের পশ্চিমাঞ্চলের অপারেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান বলেন, ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে জন্য উদ্ধারকারী কোস্টগার্ড দল পাঠনো হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের সাথে আমাদেও যোগাযোগ হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আক্রান্ত না হওয়া অন্য ট্রলারের জেলে-মাঝিরা জানান, শীতকালে সাধারণত সাগর শান্ত থাকে। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি সহ সাগরে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে রাত ১০টার দিকে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। যা অন্তত ১০ মিনিট স্থায়ী ছিল। এতে ১০ টি ট্রলার ডুবে যায়। যেখানে ১৮০ জন জেলে-মাঝি ছিলেন। তবে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, ট্রলারের ১৫৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২৭ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেও উদ্ধারে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post