চট্টগ্রাম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণস্পন্দন। প্রায় দেড়কোটির মত বাংলাদেশী তাদের রক্ত ঘাম করে দেশে টাকা পাঠায় বিদেশ থেকে। এভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে করতেই তারা কেউ কেউ এক সময় হয়ে উঠেন সফল উদ্যোকক্তা।
বিদেশে বাংলাদেশি প্রবাসী সফল উদ্যোদক্তাদের নিয়ে পিসিএল’র বিশেষ লেখা। আজ থাকছে মালয়েশিয়া প্রবাসী উদ্যোক্তা ইসরাফুল আল শামীম কিভাবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেই গল্প :
মুন্সিগঞ্জের ছেলে ইসরাফুল আল শামীম। ২০০৮ সালে উপার্জনের আশায় কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যান। কাজ নেন জহুরবারুর সেন্তুসায় কারওয়াশের একটি শো-রুমে। সেখানে তিন বছর কাজ করেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে তিনি নিজে নিজে টুকটাক ব্য বসায় মনোযোগ দেন। এর মধ্যেে তিনি মালয়েশিয়ার জহুরবারুতে এসএসআই মাজু ম্যানেজমেন্ট এসডি এনবি এইচডি ও ইয়ামি বিরিয়ানি হাউজ নামে ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অন্যউ উদ্যো ক্তাদের সহযোগিতা করেন তিনি। শামীম আজকে শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছেন। একই সাথে নিজের জীবনের মোড় ঘুরে গেছে অনন্যে সম্ভাবনার সোনালী সড়কে। এই বত্রিশ বছর বয়সে মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ কুঠগাঁও গ্রামের মো. হোসেন ও শাহীদা বেগমের কনিষ্ট ছেলে শামীম নিজের সফলতার প্রমাণ দিয়েছে যেখানে তার দেশে হতাশায় ভুগছে অনেক। মূলত মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে শামীম সেখানে চাহিদা পর্যবেক্ষণ করেন। সেখানকার জীবনাচার ও সংস্কৃতি বুঝে নিজকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তারপর উদ্যোক্তা হিসাবে যাত্রা শুরু করেন।
তারপর জহুর প্রদেশের সেন্তুসায় ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বর্তমানে ১২টি কারওয়াশ শো-রুম ও ২টি রেস্টুরেন্টের মালিক ও উদ্যোক্তা।এই তরুণের সফলতার পর তার বড় ভাই শাহীনকেও তিনি নিয়ে যান। আর তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
শামীমের অণুপ্রেরণায় মালয়েশিয়ায় অনেক বাংলাদেশী তরুণ নিজেদের উদ্যোরক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন। অন্যাদিকে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার ব্যকবসা বাড়াতে শামীম কাজ করছেন। ছবি এবং তথ্য অনলাইন মিডিয়া থেকে সংগৃহীত।
Discussion about this post