চট্টগ্রাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডসহ সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হয় গতকাল রোববার। অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফলের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২৫১ জন। এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৯৯ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন ১ হাজার ৬২২ জন। এবারের ফলাফলে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৬২ জন।
এবারের ফলাফলে ১৩ হাজার ৭২০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২০২০ সালে ছিলেন ১২ হাজার ১৪৩ জন। গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেশি এসেছে ১ হাজার ৫৭৭ জনের। ফলাফলের ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ জানান, ফলাফল খুবই সন্তোষজনক হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে সরবরাহ করা ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের ফলাফলে ছাত্র পাস করেছেন ৪২ হাজার ৮৪০ এবং ছাত্রী পাস করেছেন ৪৬ হাজার ২২২ জন। গতবার ছাত্র ৪৭ হাজার ৯৩৫ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৩২ জন।
মোট জিপিএ-৫ পাওয়া ১৩ হাজার ৭২০ জনের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৫০ জন এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৬৭০ জন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার ১৮ হাজার ৬১৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ এসেছে ৯ হাজার ৭০৭ জনের। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৪৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৯২৯ জন ছাত্র ও ৮ হাজার ৬৮৮ জন ছাত্রী।
মানবিক বিভাগ থেকে এবার পাস করেছেন ৩৮ হাজার ৪৬৩ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩৭২ ও ছাত্রী সংখ্যা ৯৬৬ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবার পাস করেছেন ৩১ হাজার ৯৮২ জন। জিপিএ-৫ এসেছে ২ হাজার ৬৭৫। এর মধ্যে ছাত্র হচ্ছেন ৮৪৫ জন ও ছাত্রী ১ হাজার ৮৩০ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার হচ্ছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এদিকে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে এবার পাসের হার ৯২ দশমিক ২০ শতাংশ। মানবিকে ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। নগরে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ও জেলায় ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, প্রকাশিত ফলাফলে কোনো ভুলক্রটি বা অসঙ্গতি থাকলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে। তবে এক্ষেত্রে ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তা লিখিতভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বরাবর আবেদন করতে হবে।