চট্টগ্রাম, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ যাবত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজন ছিলেন বিচারপতি। বাকি ছয়জনই ছিলেন সাবেক আমলা। প্রধান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন, তিনি মুন্সেফ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তবে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে কর্মজীবন থেকে অবসরে যান।
সার্চ কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।
আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে এবারই প্রথম পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি।
গঠিত নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যরা আজ রোববার শপথ নিবেন। বিকাল সাড়ে চারটায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অন্য চার কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেনকে এম নূরুল হুদা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের দায়িত্ব শেষ হয়।
সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনেগত ২৭ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে । যে কারণে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির প্রথম বৈঠকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম আহ্বান করা হয়। এছাড়া কমিটি দেশের বিশিষ্ট নাগরিদের সাথে বৈঠকও করেন। এ প্রক্রিয়ায় মেইল ও সরাসরি সার্চ কমিটিকে পাঁচশ জনের নাম জমা দেয়া হয়।
Discussion about this post