চট্টগ্রাম, ১৬ এপ্রিল, ২০২২:
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলিখেলা ও বৈশাখি মেলার স্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এবার লালদিঘির মাঠে নয় এটির সামনে জেলা পরিষদ চত্বরে মেলা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রতিবছর লালদিঘির মাঠে বলিখেলার যে আসর বসানো হত সেই মাঠ সংস্কারের কাজ চলায় মেলা স্থগিত করার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু আবদুল জব্বারের স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সঙ্গে আজ শনিবার আলোচনা শেষে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১২ বৈশাখ বলিখেলা হবে। তবে তা লালদিঘির মাঠের পরিবর্তে সামলে জেলা পরিষদ চত্বরে বসবে বলিখেলার আসর।
লালদীঘি মাঠ না পাওয়ায় আয়োজক কমিটি ১৩ এপ্রিল আবদুল জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখি মেলা আয়োজন স্থগিত ঘোষণা করেছিল। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এর আগের দুই বছরও এই মেলা হয়নি। কিন্তু এ বারের ১১৩ তম আসর না হবার ঘোষণা শুনে সাংস্কৃতিক কর্মিদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে মেয়র রেজাউল করিম আলোচনার উদ্যোগ নেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফা আলোচনার পর শনিবার দ্বিতীয় দফা আলোচনার পর শনিবার সকালে মেয়র তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে মেয়র ও আয়োজক কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন কওে মেলা আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন। মেয়র রেজাউল করিম বলেন, মেলা না হওয়ার ঘোষণায় মানুষ হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আমার কাছে এই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম মেলা আয়োজন যাতে করা যায়।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে সহযোগিতা করতে এই মেলার জন্ম। ঈদেও দিনেও এ মেলা বন্ধ হয়নি। কারণ এটি শুধু বলি খেলা নয়। এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যও।
বলি খেলার বাইরে বৈশাখি মেলার পরিসর হবে লালদিঘি মাঠের বাইরে। ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ তিন দিন মেলায় বিভিন্ন পণ্যেও বেচাবিক্রি প্রতিবছরের মত চলবে।
লালদিঘির মাঠ সংস্কারে ২ কোটি ২৫ লাখ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে এতিহাসিক ছয় দফা মঞ্চ সহ ঐতিহাসিক ঘটনার ম্যুরাল স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া মাঠ সংরক্ষণ সহ মিশুদেও জন্য আলাদা কর্নার করা হচ্ছে। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে। যে কারণে লালদিঘির মাঠের ভেতর বলি খেলার আসর বসানোর ব্যাপারে আপত্তি ছিল সংশ্লিষ্টদের।
এই মাঠে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঐতিহাসিক ছয় দফা মঞ্চ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ম্যুরাল স্থাপন, কিডস কর্ণার, ঘাস লাগানো, সীমানা প্রাচীর, ফটক নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই বছর আগে এই কাজ শুরু হয়।
Discussion about this post