চট্টগ্রাম, ১৪ জুন, ২০২২:
বুরকিনা ফাসোতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনায় নাইজার সীমান্তের বুরকিনা ফাসোর উত্তরের জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
হামলাকারীরা পুরুষদের টার্গেট করলেও শনিবার রাতের এই ঘটনায় সেতেঙ্গা জেলায় নারী ও শিশুরা হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। অন্য একটি সূত্রের দাবি নিহতের সংখ্যা ১৬৫।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, হামলা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৩০০০ লোক বুরকিনা ফাসোর পার্শ্ববর্তী সাহেল অঞ্চলের রাজধানী ডোরিতে পৌঁছেছে, যেখানে সাহায্য সংস্থাগুলি মাঠে রয়েছে।
কোনো পক্ষ এই ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আল কায়েদা এবং আইএসএস জঙ্গিদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএসএস ও আল কায়েদা সেখানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাধারণ জনগণকে হত্যা করে আসছিল। তাদের ভয়ে সেখানে লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুরকিনা ফাসো সরকারের মুখপাত্র Lionel Bilgo বলেছেন, ৫০ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কিন্তু এটা আসল সংখ্যা নয়। সৈনিকরা ঘরে ঘরে গিয়ে মৃতদেহের সন্ধান করছে।
ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলার জন্য ক্ষুব্ধ সেনা কর্মকর্তারা জানুয়ারিতে বুরকিনা ফাসোর রাষ্ট্রপতিকে উৎখাত করেছিলেন এবং নিরাপত্তা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে সহিংসতার মাত্রা এখনো আগের মত রয়ে গেছে।
জাতিসংঘ গত সোমবার এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা করেছে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
Discussion about this post