চট্টগ্রাম, ২০ জুন, ২০২২:
আসামের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। আসামের পানি সম্পদ মন্ত্রী পিযুশ হাজারিকার বরাত দিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন করে আন্তর্জাতিক এই সংবাদ সংস্থাটি।
উভয় দেশে ৯ মিলিয়নের মত বন্যার্ত মানুষদের সহায়তায় জোরেশোরে কাজ করছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ। দেশ দুটির মধ্যে বন্যায় ৫৪ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। যদি বাংলাদেশের সংবাদ পত্রে এই সংখ্যা আরো বেশি।
সিলেট বিভাগে মৌসুমী বৃষ্টিপাতে জনসংখ্যার অন্তত চার ভাগের এক ভাগ বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক বলেছেন, সিলেটের ১২২ বছরের মধ্যে এমন বন্যা আর দেখা যায়নি।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আশেপাশের পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের কারণে সিলেটের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
আমরা ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রচেষ্টা জোরদার করছি। এই মুহূর্তে, প্রধান চ্যালেঞ্জ সবার কাছে পৌঁছানো এবং পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, বন্যার পানি তার দোতলা বাড়ির নিচতলা ভেসে গেছে এবং স্থানীয়রা নৌকা ব্যবহার করে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রায় ৩ লক্ষ লোককে সিলেটে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তবে চল্লিশ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের প্লাবিত বাড়ির কাছে আটকা পড়েছে। তাদের কাছে পানীয় জল এবং চিকিৎসা সরবরাহ সহ সহায়তা পৌঁছনো চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
সিলেট বিভাগের প্রধান প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ফোনে রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
“আমি আমার জীবনে এমন বন্যা দেখিনি,” 43 বছর বয়সী রহমান ফোনে রয়টার্সকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিদ্যুৎ নেই। শুকনো খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে, পানীয় জল নেই। প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও সাড়ে ৪ মিলিয়ন মানুষ বাড়িতে আটকা পড়েছে। বন্যা প্লাবিত হয়েছে লক্ষাধিক হেক্টর চাষের জমি।
প্রতিবেশী ভারতের আসাম রাজ্যে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সেখানে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। এখন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বন্যা পানি কমলেও এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা।” দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রভাবের সম্মুখিন হচ্ছে। ফলে বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছে। পরিবেশবাদীরা সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন আরও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে।
.
Discussion about this post