চট্টগ্রাম, ৩১ আগস্ট, ২০২২:
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিতি ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্র- বিআইএফপিসিএল আগামী অক্টোবর থেকে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যাচ্ছে। এটির একটি ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। গত ১৫ অগাস্ট ৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলে দেশের লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সারা দেশের ফিডারভিত্তিক ১ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের হবে বলে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
দেশে পিক আওয়ারে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সরকারের ঘোষিত সময়ে দোকান, শপিংমল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আশা করা হয়। অবশ্য সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে পরবর্তিতে অফিস সময়সূচীরও পরিবর্তন আনে।
এদিকে আজকে ৩১ আগস্ট বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় দেশে দিনে ১২৮০০ মেগাওয়াট ও সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ১৪৮০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার কথা জানিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩৩৩৮ ম.ওয়াট। আর দিনের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৭ শত ১৭ মে.ওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জুলাই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেছিলেন,আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। একই সাথে ভারতের আদানী পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে ৪ হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, এই কঠিন সময়ে আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য। বিদ্যুৎ সংকট সাময়িক সময়ের জন্য। এই সমস্যা খুব বেশিদিন থাকবে না।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) প্রকল্প পরিচালক সুভাস চন্দ্র পান্ডে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ইতিমধ্যে রামপাল কেন্দ্রটিকে জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। যদিও দুই ইউনিটের এই কেন্দ্রটির এখন মাত্র ৮২ দশমিক ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দুই ইউনিট মিলে এটির উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ইউনিট-২ উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের মার্চে।
১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ খরচ ১৬ হাজার কোটি টাকা। যেখানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি দিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা করে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক বাকি অর্থের জোগান দেয়। ছবি: সংগৃহীত
Discussion about this post