চট্টগ্রাম, ২৩ অক্টোবর, ২০২২:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সারাদিন আকাশ ছিল মেঘলা। ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ঝড়োবাতাস প্রবাহিত হয়নি।
ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালের দিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। ১০০ কিমি. গতিবেগের ঝড়োহাওয়ায় সুন্দরবনের উভয় দেশের অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ১৯ টি জেলায় আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি অন্য ঘূর্ণিঝড়গুলোর চেয়ে আরও বিস্তৃত এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
আবহওয়া অধিদপ্তর তাদের বুলেটিনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।
গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পরবর্তিতে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহওয়া অধিদপ্তর আরো জানায়, পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো সামান্য উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিমি. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১৫ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমে,মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিমি দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা সব্বোর্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিমি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post