নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ বলে কোন বিভাজন থাকবে না। একই সাথে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না। ২০২৫ এই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেন। তিনি জানান, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন এই শিক্ষা কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। ২০২৩ সাল থেকে নতুন এই শিক্ষা ক্রমের বাস্তবায়ন ধাপে ধাপে শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দশম শ্রেনীর পাঠ্যক্রম অনুযাযী এসএসসি পরীক্ষা হবে। এইচএসসির প্রথম বষ্য ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির চূড়ান্ত ফলাফল হবে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। প্রাথমিকে শেষে একটি সনদ পেল, ক্লাস এইট শেষে একটি সনদ পেল। তার মানে না যে প্রত্যেক ক্ষেত্রে সনদ দিতে হবে। আমি যদি ক্লাস শেষ করি সেখানেও তো সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে। সনদের জন্য শিক্ষা নয়, পারদর্শিতা নিশ্চিত করতে চাই। “অষ্টম ও প্রাথমিকে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না এবং প্রতিটিতে সমাপনী পরীক্ষা হবে। সনদ দেওয়ার জন্য পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই। পিইসি এখনও ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পাবলিক পরীক্ষা, বছর শেষে প্রতিক্লাসে মূল্যায়ন হবে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলেছি, এইচএসসির পরীক্ষার রেজাল্ট হবে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পরীক্ষা নিয়ে সেই দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেওয়া হবে। অন্য শ্রেণিতে হবে সমাপনী পরীক্ষা, সমাপনীতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের সঙ্গে সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।
“শিখন সময় কতটা হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়নেও গুরুত্ব দিয়েছি,” বলেন তিনি।
পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা থাকছে কি না- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “প্রাথমিকে শেষে একটি সনদ পেল, ক্লাস এইট শেষে একটি সনদ পেল। তার মানে না যে প্রত্যেক ক্ষেত্রে সনদ দিতে হবে। আমি যদি ক্লাস শেষ করি সেখানেও তো সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে। সনদের জন্য শিক্ষা নয়, পারদর্শিতা নিশ্চিত করতে চাই। “অষ্টম ও প্রাথমিকে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না এবং প্রতিটিতে সমাপনী পরীক্ষা হবে। সনদ দেওয়ার জন্য পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই। পিইসি এখনও ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পাবলিক পরীক্ষা, বছর শেষে প্রতিক্লাসে মূল্যায়ন হবে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলেছি, এইচএসসির পরীক্ষার রেজাল্ট হবে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে। তিনি বলেন, গভীর শেখনে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মুখস্ত নির্ভরতা যেন না থাকে। জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তথ্য: বিডিনিউজ