ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারপতির প্রশংসা করায় তাদের মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানোর রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহমান। তাই হাইকোর্ট রিটটি শুনানির কার্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
জানা যায়, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ২০০৩ সালে ৮০ জন ছাত্র ভর্তির অনুমতি পেয়েছিল। পরে ২০১০ সালে তা উন্নীত করে ১১০ জন ভর্তির অনুমতি নেওয়া হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরে তারা চিঠি দিয়ে ৫০ জনের বেশি ভর্তি করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে আপিলের ভিত্তিতে ১০ জন বাড়িয়েছিল। কিন্তু গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো হলো ১১০ জনের।
এজন্য মেডিকেল কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
আজ ২১ সেপ্টেম্বর যখন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির কথা ছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিতে গিয়ে আদালতে বলেছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমার অনেক প্রশংসা করেছেন। আমি এই মামলার যদি আদেশ দেই তাহলে কেউ অন্য মন্তব্য করতে পারেন। সেজন্য আপনি অন্য আদালতে যান, আমরা আউট অব লিস্ট করে দিচ্ছি।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি অনুষ্ঠানে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ। তিনি সেদিন বলেছিলেন, সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি (সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম) বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমনিকে হয়রানি করা হচ্ছিল, তারা (দুই বিচারপতি) প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।