চট্টগ্রাম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫:
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে আরো উন্নতি করা যায়, জমির টপসয়েল কাটা ও পাহাড় কাটা প্রতিরোধে আরো ভালোভাবে কাজ করবে প্রশাসন। সবার সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরসংস্থার কর্মকর্তাদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে আরাকান আর্মির সাংগ্রাই উদযাপন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এসব ভিডিওর সব কিছু সত্য নয়, আবার সবটাই মিথ্যাও নয়।আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন যাবত। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলেছে—এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে, বিষয়টা তা নয়। টিকটক ভিডিও অনেকভাবে করা যায়।
সীমান্ত পুরোপুরি রক্ষিত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তটা ডিফিকাল্ট। এখানে একটু ব্যালেন্স করতে হবে। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মিয়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মিয়ানমার সরকারকে যেমন ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে। সীমান্ত পুরোভাবে রক্ষিত আছে।
রাউজানে একের পর এক খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকা হলো পাহাড় ও সমতল। দুটোরই সংমিশ্রণ। চট্টগ্রাম বিভাগের একটি সমস্যা হলো এখানে পড়েছে সব পাহাড়, সমতল ভূমি ও সমুদ্র। বনাঞ্চলও আছে এখানে। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভিন্ন। আমরা এ ব্যাপারে আলাপ করেছি।
‘সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি এলাকায় থাকে আমি আপনাদের সামনে হাবিবকে (চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি) নির্দেশ দিয়ে গেলাম যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এবং চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসক ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।