চট্টগ্রাম, ২১ জুলাই, ২০২৩:
চট্টগ্রামের মাছের বাজারে আগুন। যে দাম উঠেছে কমা তো দূরের কথা বরং দিন দিন বাড়ছে। তবে কাঁচাবাজারে শাকসব্জির দাম স্থিতিশীল। কোনো কোনো শাকসব্জীর দাম নিম্নমুখী। বাজারের অবস্থান ও শাকসবজির মান ভেদে দামের পার্থক্যও বাজার ঘুরে দেখা গেছে।
নগরীর কর্নেল হাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়শ, পটল, ঝিঙ্গা, বরবটি, বেগুন, ধুন্দুল, কচু, মিষ্টি কুমড়া সহ সকল সবজি। চালকুমড়া, জাতি লাউয়ের দাম কেজি ত্রিশ টাকারও কম। আলু বড় ছোট আকার ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৪০ টাকা। তবে হলুদের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ক্রেতা অভিযোগের সুরে বললেন, ১৪০ টাকার হলুদ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
রসুন, আদার দাম পাঁচ দশ টাকার পার্থক্যে উঠানামা করছে।
কাঁচা মরিচের দামও দু’শ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অবস্থান ভেদে ও কাঁচা মরিচের জাতের পার্থক্যে দাম দু’শ টাকার বেশি বা কমে বিক্রি হচ্ছে।
মোট কথা চট্টগ্রামে কাঁচা বাজারগুলোতে শাকসব্জীর দাম একরকম না হলেও দাম নিম্নমুখী। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে গড়পড়তা হিসাবে। বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে।
তবে মাছের বাজারের আগুন তো কমছেই না বরং দিনদিন বাড়ছে। তেলাপিয়া মাছও দু’শ টাকার উপরে। দুশ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে শুধু পাঙ্গাস। তিন শ’ টাকার উপরে রুই, কাতলা, বাউশ, মৃগেল। আকার ও দেশিবিদেশি হিসাবে এসব মাছের দাম চারশ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইলিশের দাম হাজারের অঙ্কে, চিংড়ি, রূপচাঁদা মাছের দামও আকার ও জাত ভেদে হাজারের উপরে নিচে উঠানামা করছে। মাছের বাজারে দেড়, দুই হাজার টাকা কেজি দরে মাছও বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস, খাসির মাংসের দাম তুলনামূলক কম। সাদা মুরগির দামও ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগির দামও নিম্নমুখি। ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে দশ টাকার উঠতি পড়তিতে ১৩০ থেকে ১৪৬ টাকা পর্যন্ত। তবে বাজারে যে কাঁচা তরকারির দাম হুহু করে বাড়ছিল সে হিসাবে কাঁচা বাজার এখন স্বাভাবিকই আছে বলা যায়। দাম নিয়ে বাড়তি কোনো উম্মাদনা নেই। দামের কিছুটা পার্থক্য থাকলেও বাজার ঘুরে ক্রয়েরও সুযোগ আছে ক্রেতাদের জন্য।
Discussion about this post