নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কয়েকটি দেশে প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ওআইসি সিএফএম-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি কোরান পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মিসর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য ওআইসি দেশের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মুহিত মহাসচিবকে বলেন, কোরআনের অবমাননার এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের অনুভূতিকেই আঘাত করে না, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা সহিংসতার উসকানি দিতে পারে এবং এভাবে অনেক দেশের শান্তি ও নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘটনাও উল্লেখ করেন যারা মিয়ানমারে ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
মুহিত জাতিসংঘের মহাসচিবকে ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননাসহ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে অনুরোধ করার আহ্বান জানান।
জাতি সংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস ওআইসি সদস্যদের সাথে তার সংহতি প্রকাশ করেন এবং ধর্মীয় বিদ্বেষের এই জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি ওআইসি প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের ধর্মবিরোধী ঘৃণার পুনরাবৃত্তি রোধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে জাতিসংঘের মহাসচিব হিসাবে তার ক্ষমতায় যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। এর আগে, রাষ্ট্রদূত মুহিতের নেতৃত্বে ওআইসি প্রতিনিধিরা অনুরূপ উদ্বেগ প্রকাশ করতে ১৪ জুলাই সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা কোরোসির সাথে সাক্ষাৎ করেন। খবর ও ছবির সূত্র: নিউ এইজ পত্রিকার সৌজন্যে
Discussion about this post