চট্টগ্রাম, ২৬ জুন ২০২৪:
সিডিএ’র(চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৩৬টি খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়নের মধ্যে ৭ বছরে মাত্র ১৬টি খালের কাজ শেষ হয়েছে। আরও ২০ টি খালের কাজ বাকী আছে। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বলছে ১০ টি খালের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আর হিজড়া, মির্জা, চশমা এবং জামাল খানসহ আরও ১০টি খালের সংস্কার ও সম্প্রসারণ এখনও বাকি আছে।
যদিও ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২০ সালের জুন মাসে।প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিডিএ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে কাজ দেয়(সমঝোতা চুক্তি)পরের বছর এপ্রিলে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ব্যয় ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা এবং সময় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তবে সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মাঈনুদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পে ২১ খালে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ৭টি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ দেয়নি বলে তিনি জানান।
২১ খালে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হলে ৩৬ টি খালের মধ্যে আসলে কয়টি খালের কাজ শেষ হয়েছে- সেটাই প্রশ্ন। প্রকল্পের পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৬টি খালের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।১০টি খালের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
সিডিএ’এর নির্বাহী প্রকৌশলী আর সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন প্রকৌশলী দুই জনের হিসাবে কোনো মিল নেই।
তবে তারা বলছেন, খালগুলোর চারপাশ দখল করে এত বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। মূল খালের তিন ভাগের এক ভাগ দখল করে ফেলেছে আশপাশের লোকজন। মূল খালের তিন ভাগের এক ভাগ দখল করে ফেলেছে আশপাশের লোকজন। তাই এই চারটি খালের স্থাপনা ভেঙে খালের পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণ এবং উচ্ছেদ পরিচালনা করা ছাড়া কেনো উপায় নেই।
এদিকে হিজড়া, মির্জা, চশমা এবং জামালখান খাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় চলতি বছরের বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা করছে খোদ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা। একইসাথে কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, প্রবর্তক, দামপাড়া, মেহেদীবাগ, সিডিএ এভিনিউসহ আরও কিছু পয়েন্টে জলাবদ্ধতার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post