চট্টগ্রাম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪:
গত ২০ আগস্ট থেকে সারাদেশে বন্যায় মারা গেছে ৫৯ জন। গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও ১২ জন শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে সর্বোচ্চ ২৩ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন, নোয়াখালীতে ৯ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে মারা গেছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৬৮টি উপজেলা ও ৫০৪ পৌরসভা ও ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে নোয়াখালীতে গত কয়েকদিনর ধরে বৃষ্টি না হলেও এখনো পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পানি নামছে অতি ধীরে। সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও কবিরহাট উপজেলার সড়ক এখনো অবধি হাঁটু পরিমাণ জলনিমজ্জিত।
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ উপজেলা ও নগরে ৩৯৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বন্যায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে চট্টগ্রাম কৃষি এলাকায়। চট্টগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৬০৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে। জেলার ১৫টি উপজেলায় ১৬২টি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঁচ হাজার ৫৪১ দশমকি ৬ হেক্টরের ১৬ হাজার ৮৬৪টি পুকুর দিঘী ও মাছের খাবার এবং বাঁশখালীর ১২ হেক্টর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাছ এবং অবকাঠামো মিলিয়ে ২৯০ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন জানিয়েছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় পোলট্রি খাতে মোট ক্ষতির পরিমান ৫৬৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
ক্ষতির পরিমানের হিসাব ডিম পাড়া লেয়ার মুরগি মারা গেছে প্রায় ৫লাখ যার বাজার মূল্য ৪০ কোটি টাকা , ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে ৪০লাখ পিস যার বাজার মূল্য ৯৬ কোটি টাকা, সোনালি মুরগি মারা গেছে ৩০ লাখ পিস বাজার মূল্য ৭২ কোটি টাকা, মুরগির খাবার নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টন যার বাজার মূল্য ৩৫কোটি টাকা । প্রত্যেক খামারের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা ৪০০০ খামারের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে ৩২০ কোটি টাকার , মুরগির বাচ্চা মারা গেছে প্রায় ১৫ লাখ ৪ কোটি ৫০ লক্ষ্য টাকা।
Discussion about this post