চট্টগ্রাম, ১১ জুন, ২০২৫:
চট্টগ্রামে ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। ৩ জন রোগীর মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম মহানগরের ও অপর ১ জন মিরসরাই উপজেলার।
চট্টগ্রাম নগরের করোনা পজিটিভ ২ জনের মধ্যে একজন এপিক হেলথ কেয়ার ও অপর একজনকে সনাক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে। করোনা পজিটিভ মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসিন্দা রোগীটিকেও সনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে ২ জন চারদিন আগে ও ১ জন ১ জুন সনাক্ত হয়েছে। তিনি ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে কোভিডের জন্য ‘ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে বলে জানান।
ইতিমধ্যে করোনা প্রতিরোধে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।বৈঠকের পর কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রাম বিমান বন্দর পরিদর্শন করেছেন।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলতি মাসে ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছিল। যার বয়স ছিল ৮১ বছরের বেশি।
করোনায় ২০২৪ সালে কেউ মারা না গেলেও এ বছর মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর। এর আগে ২০২৩ সালে মারা গিয়েছিল ৩৭ জন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিভাগ গত ৪ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বন্দরসমূহে করোনা সতর্কতা জারি করে জানায়,সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রন LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1 এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সংক্রমন প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্ক সমূহে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদারকল্পে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরামর্শ:
বারবার প্রয়োজনমত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড), নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকা, অপরিস্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা, হাঁচি-কাশির সময় বাহু/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা।
এন্ট্রি পয়েন্টসমূহে অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করা নির্দেশনা দেয়।
এসব পয়েন্টে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একই সাথে চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুদ রাখা (PPE) ও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচতেচনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাসমূহ প্রচারের জন্য জোর দেওয়া হয়।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
চলতি বছরে বাংলাদেশে কোভিড- ১৯ এর নতুন দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি এবং এক্সএফসি’র সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এগুলো ওমিক্রন জেএন.১ -এর উপ ধরন।
ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে এনবি.১.৮.১ নামে একটি ভ্যারিয়ন্ট।