চট্টগ্রাম, ১৫ জুলাই ২০২৫:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আজ সকালে চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কারাগারের খাবারের মান পর্যবেক্ষণ করেছি। কয়েদিদের থাকার ব্যবস্থা দেখেছি। তাদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। আবাসন ব্যবস্থা সুবিধার না। উপাসনালয় নেই। হিন্দু- মুসলমান সকল কয়েদি যাতে নিজ নিজ ধর্মমতে প্রার্থনা করতে পারে সেটা ব্যবস্থা করা হবে। অন্তত একটা কক্ষও যদি নামাজ ও উপাসনালয়ের জন্য আলাদা রাখা যায় সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।”
তিনি বলেন, “কারাগারটা ব্রিটিশ আমলের। এখানে স্থান সংকুলানের অভাব আছে। কারাগারে যদি আর একটা ইউনিট করা যায় তাহলে আবাসন সমস্যা যেটা আছে সেটা সমাধান হবে।”
তিনি বলেন, “আমি কারা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। আর কী কী সুবিধা বাড়ানো যায় সেটা দেখা হচ্ছে। কয়েদিদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। তাদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি হলে অপরাধ প্রবণতা যাতে হ্রাস পায় সেজন্য কয়েদিদের জন্য লেকচারের ব্যবস্থা করব।”
এছাড়া আসামিকে কোর্টে না নিয়ে শুনানি করা সম্ভব কিনা সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে করবেন বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, “ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখছি। আর কয়েদিদের সাথে আত্মীয়-স্বজনের ডিজিটাল সাক্ষাতের ব্যবস্থার ব্যাপারেও চিন্তা করছি।
আইনমন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যদি ডিজিটাল সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে সাক্ষাতকার প্রার্থিদের ভোগান্তি কমবে।”
এছাড়া চিকিৎসার ব্যাপারে কারাগারের বাইরে হাসপাতালে নেওয়ার যদি প্রয়োজন হয়, কয়েদিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। এ ব্যাপারে ডিআইজি -প্রিজনকে বলেছি।