চট্টগ্রাম, ১৬ জুন, ২০২২:
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় সরকারি অর্থায়নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে অংশীজন ও মাস্টার প্ল্যানের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় পাঁচ তারকা হোটেলের রেডিসন ব্লু’র হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মতবিনিময় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ কাজী হাসান বিন শামস,
মাস্টার প্ল্যানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম-লিডার ড. আহসানুল কবির সহ সিডিএ’র বোর্ড মেম্বারবৃন্দ, সিডিএ’র বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীবৃন্দ, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং টেকনিক্যাল ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন স্থপতি গোলাম রাব্বানী এবং জি আই এস এনালিস্ট জিহান ইব্রাহীম।
উল্লেখ্য, সিডিএ কর্তৃক ১৯৯৫ সালে মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করা হয়।
এগিয়ে চলছে নতুন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কাজ: বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সাথে মিল রেখে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান (স্ট্রাকচার প্ল্যান, আরবান এরিয়া প্ল্যান, একশন এরিয়া প্ল্যান) প্রণয়ন করা হবে। মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন উড্ডয়নের কার্যক্রম এবং ভূতাত্ত্বিক সার্ভে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই ড্রোনের নির্ভরযোগ্যতা এতই বেশি যে, মাটিতে ৫ সেন্টিমিটার বা ২ ইঞ্চি সাইজের পাথর পড়লেও দেখা যাবে এবং ড্রোন সার্ভের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করা যাবে। তাছাড়া ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা ও ভূমিকম্প, বিভিন্ন দুর্যোগ সর্ম্পকে তথ্য পাওয়া যাবে। মহানগর এলাকায় এই পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত সার্ভে দলসহ সংশ্লিষ্টরা পরিকল্পনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন।
এবারের মাস্টার প্ল্যানে নগরবাসীর আশা-আকক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যাতে ।