চট্টগ্রাম, ৭ জুলাই, ২০২২:
ররিস জনসনের উপর খড়গটা ঝুলছিল ঝুলছিল করোনাকালীন পার্টিও আয়োজন করে। এটা নিয়ে মাঝে মাঝে বেশ শোরগোল উঠলেও তার গদি হারানোর শঙ্কার কথা খুব বেশি আসেনি। ব্রিটেনে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও জনগণের অর্থনৈতিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছিল। এরমধ্যে তাদের কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে বিদ্রোহের পর তিনি তিনি আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
নাটকীয়ভাবে তার মন্ত্রীদের এবং বেশিরভাগ রক্ষণশীল পার্লামেন্ট সদস্যদের সমর্থন হারানোর পর তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে তিনি বলেছেন, তার উত্তরাধিকারী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন।
তার মন্ত্রী সভা থেকে ৫০ জনেরও বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করার পর তিনি বুঝতে পারেন তার দল অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে চাইছে।
যদিও জনসন বলেছিলেন যে তিনি থাকবেন, কিন্তু বিরোধীরা এবং তার নিজের দলের অনেকেই বলেছিলেন যে তার অবিলম্বে চলে যাওয়া উচিত।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার বলেছেন, কনজারভেটিভরা একবারে জনসনকে অপসারণ না করলে তিনি সংসদীয় আস্থা ভোট ডাকবেন।
সাম্প্রতিক ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে ২৪ ঘণ্টায় যত নাটকীয়তা দেখা গেছে, তা কখনো দেখা যায়নি। গত মঙ্গলবার তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন নাদিম জাহাউকে, তিনিও বরিস জনসনের পক্ষত্যাগ কওে প্রধানমন্তীকে পদত্রাগের আহ্বান জানান। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর তার আর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। যে কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সূত্র: বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। ছবি : সংগৃহীত
Discussion about this post