২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র টুইন টাওয়ারে হামলা চালায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদা। সেই একই দিনে অর্থাৎ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর, শনিবার আফগানিস্তানের তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক। তালেবানের একটি গোপন সূত্রের বরাতে এই সংবাদ দিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
২০০১ সালে যে আল কায়েদা টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়- সেই আল কায়েদার সাথে তালেবানের এখনো ‘বাইয়াহ’ এর সম্পর্ক অটুট বলে এতদিন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এই ‘বাইয়াহ’ বা সম্পর্কের কারণেই কি তালেবান সরকার ওয়ান ইলেভেনকে সামনে রেখে তাদের দ্বিতীয় বিজয় ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ১/১১ এর হামলার দিন সরকারের শপথ কি আল কায়েদার সাথে তালেবানের সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি পূরণ?
অন্যদিকে তালেবান সরকারের শপথের দিন যে সব দেশকে তালেবান আমন্ত্রন জানিয়েছে-তাদের মধ্যে নেই আমেরিকা। রয়েছে – চীন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তান।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করে। এর তিন সপ্তাহ পর তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করে।
ফিরে দেখা ৯/১১
সেদিনের ঘটনার ভয়াবহতায় দুনিয়াশুদ্ধ মানুষ হত বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। আমেরিকার চারটি যাত্রীবাহী জেট বিমান ছিনতাই করে আর কায়েদা ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কের দুটি ১১০ তলার আকাশ চুম্বি ভবনে আক্রমণ চালায়। হামলায় অংশ নিয়ে দুটি বিমান ধ্বংস করে টুইন টাওয়ার। এটিতে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ ছিল। প্রথম বিমানটি আঘাত হানে সকাল ৮ টা ৪৬ মিনিটে। দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ার বিধ্বস্ত করে সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। শহরের আকাশ ছেয়ে যায় ধোঁয়ার কু-লিতে। ভবনগুলোতে আটকা পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।
তৃতীয় বিমানটি ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনে আক্রমণ করে সকাল ৯ টা ৩৭ মিনিটে।
এছাড়া অপর আর একটি বিমান পেনসেলভেনিয়ার এক মাঠে আছড়ে পড়ে। সম্ভবত তারা ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ভবনে হামলা করতে চেয়েছিল। এই হামলায় অংশ নিয়েছিল ১৯ জন ছিনতাইকারী।
এসব হামলায় প্রায় ৩ হাজারের মত মানুষ মারা যায়। সেদিগন যারা প্রথমে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে এসেছিল তাদের মধ্রে মারা গিয়েছিল ৪৪১ জন।
৯/১১ এর হামলার এক মাসের কম সময়ে আফগানিস্তানে আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা ও তাদের মিত্রজোট। এরপর ২০১১ সালে লাদেনকে খুঁজে পায় পাকিস্তানের এবোটাবাদে। এবং তাকে হত্যা করা হয়।