চট্টগ্রাম, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২:
আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রামের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক মহা সমাবেশকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে আওয়ামী লীগের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয়ও।
পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তার পুরো আয়োজন তদারকি করছে। এছাড়া জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সাত হাজারের পুলিশ মোতায়েন করবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়র’স ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনও জনসভা হয় না। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়। সরকারে থাকার কারণে বরং সভার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অসুবিধায় পড়তে হয়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে নানা বিধিনিষেধে অনেক প্রবীণ ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করে মাঠে ঢুকতে পারেন না।
সূত্র জানায়, জনসভাস্থল ও সন্নিহিত এলাকা ছাড়াও পুরো শহর ইতিমধ্যে নিরাপত্তার আওতায়। শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি জনসভাস্থল ও আশপাশে লাগানো হয়েছে শতাধিক ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। নগর পুলিশের সকল ইউনিটের নিয়মিত সদস্যের পাশাপাশি রিক্যুইজিশন ফোর্সও আজ শনিবার থেকে মাঠে নামছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জনসভার পূর্বাপর সময়ে ক্যামেরার মনিটরে চোখ রেখে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
জোরদার নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে নগরে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি। পলোগ্রাউন্ড ময়দানের চারপাশে ও ভেতরে টহল দিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া জনসভা মঞ্চ ঘিরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়।
তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে পুরো বন্দরনগরী।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনসভাকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নগরজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ। শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, পুরো নগরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তার পুরো আয়োজন তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মতে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন থাকছে। মোটকথা, পুরো শহরজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। জনসভায় যারা দূর-দুরান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে আসছেন, তাদের গাড়ি কোথায়, কিভাবে রাখা হবে, সেটা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা সবদিকে নজর রেখেছি। প্রতি মুহূর্তে খোঁজখবর রাখছি। প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে কোন ধরনের নাশকতা হতে পারে- এমন আগাম তথ্য বা শঙ্কা নেই। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজনও যথেষ্ট ভালো।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় শতাধিক ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে সিটি কর্পোরেশন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় পলোগ্রাউন্ডের জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর নিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসএসএফ’র তত্ত্বাবধানে এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে জনসভাস্থলের ভেতর ও বাইরে চারপাশে। যেখানে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post