চট্টগ্রাম, ৪ অক্টোবর, ২০২২:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ১৪ বছরে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলো হল- কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক, একাধিক ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রিং রোড, লিংক রোড, চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সহ হাজার হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন যজ্ঞ। যার সুফল ভোগ করবে চট্টগ্রাম সহ গোটা দেশ।
এই উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে আজ কয়েক ঘণ্টা পরই চট্টগ্রামে মহাসমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প অন্যতম। এই রেললাইন কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে কক্সবাজারে যুক্ত হলেও এখনো পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক মহা সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ভাষণে কী ঘোষণা থাকবে চট্টগ্রামের জন্য?
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে কখনোই কিছু চাইতে হয় না। তিনি ভিশনারি সব প্রকল্প নিজে থেকেই দিয়েছেন। হয়ত সেরকম কিছু চমক দিতে পারেন। যা আমরা কেউ ভাবিইনি।
তিনি বলেন, আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকতে পারে দলীয় নেতাকর্মিদের জন্য।
চট্টগ্রামের মহা সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল রাতেই চট্টগ্রামে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি এই সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাতকারে বলেন, আগামী দিন নিয়ে নেত্রী তার ইচ্ছা ব্যক্ত করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা। আমাদের এবারকার নির্বাচনী ওয়াদা স্মার্ট বাংলাদেশ। এবং এ সম্পর্কে তিনি কী করতে চান, তা বলবেন।
অবশ্য চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গতমাসে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে ।
সিআরবিতে ইউনাইটেডের হাসপাতাল সরানোর সর্বশেষ সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছিলেন, চার ডিসেম্বরের মহা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী সিআরবির হাসপাতাল প্রকল্প সরানোর চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন। চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি রক্ষায় চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ প্রায় চারশ দিনের মত আন্দোলন করেছে। এটা সরানোর ব্যাপারে রেল মন্ত্রণালয় রাজি হলেও চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ তা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনতে চাইবে আজকের জনসভা থেকে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতা এই হাসপাতালে দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থাপনের দাবিও জানান। অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিও জানানো হয়।
চট্টগ্রামের মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষার উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে। ফাইল ছবি: সংগ্রহ(মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর)
Discussion about this post