বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ভয়াবহ চিকিৎসা খরচ আদায় নিয়ে আজ উত্তপ্ত হয়েছে জাতীয় সংসদ। অধিবেশন চলাকালে বিল পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তারা একের পর এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। এছাড়া চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান, চিকিৎসা ব্যয়, চিকিৎসকদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনা করেন। ‘মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডি)(রিপিল) বিল ২০২১’ বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যগণ চিকিৎসা সেবার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উত্তপ্ত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তারা সমালোচনা করেন। এই আলোচনায় অংশ নেন- বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, রুমিন ফারহানা, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, বিএনপির মোশারফ হোসেন, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, করোনায় সংকটে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। এ সময় তিনি করোনা কালে রোগীদের কাছ থেকে অত্যন্ত বেশি বিল আদায়কারী কয়েকটি হাসপাতালের কথা বলেন। এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। তিনি রাজধানীর দুটি হাসপাতালকে ডাকাত উল্লেখ করে বলেন, এখানে দেখা যায় মানুষ যখন চিকিৎসা করাতে যায়, তখন এক লাখ, দুই লাখ করে দশ লাখ টাকা বিল করে তাদের আটকে রাখে। এজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি কমিটি করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য একটা রেট করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, বেসরকারি মেডিকেল ও হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেই।
আলোচনার পর ‘মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডি)(রিপিল) বিল ২০২১’ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়।
Discussion about this post