চট্টগ্রাম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
নিপাহ ভাইরাস একটি প্রাণঘাতি ভাইরাস। এই ভাইরাস বহন করে বাদুড়। এই বছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮ জন। যারা কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার পর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, তারা এই বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে। তাদের মধ্যে ১১ জনের নিপাহ শনাক্ত হয়। মারা যায় ৮ জন। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা প্রত্যেকে কাঁচা খেজুরের রস পান করেছিলেন। দেশের ৩৪ জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি নিপাহ আক্রান্ত নরসিংদীর এক যুবক মারা গেছেন। আইইডিসিআর জানিয়েছে, এই পর্যন্ত নিপাহ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৩ জন। ২০০১ সালে প্রথম নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নিপাহ ভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই, টিকাও নেই। কেবলমাত্র উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হওয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যৈ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। লক্ষণগুলো হচ্ছে – জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, বমি, গলা ব্যথা, মাথা ঘোরা, তৃষ্ণা, বেহুশ হয়ে যাওয়া, অসংলগ্ন প্রলাপ বকা ইত্যাদি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশে এই হার ৭১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তবে শুধু কাঁচা খেজুরের রস খেলেই নয়, বাদুড়ের লালা বা মল লেগে থাো যে কোনো ফল খেলে এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য বাদুড়ে খাওয়া ফল যেমন খাওয়া যাবে না তেমনি ফল ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
১৯৯০ এর দশকে নিপাহ ভাইরাসটি মালয়েশিয়ায় প্রথম শনাক্ত হয়। ছবি: ইন্টারনেট থেকে নেয়া।
Discussion about this post