চট্টগ্রাম, ১৫ জুলাই, ২০২৩:
চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গুতে মারা গেছে এক শিশু। ডেঙ্গু রোগী বাড়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যে শিশুটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার নাম মরিয়ম জান্নাত। বয়স মাত্র আড়াই বছর। গত ১১ জুলাই থেকে মা চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় সে। ১৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আরও ৯০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৫ জন নগরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৫ জন। এ নিয়ে চলতি জুলাই মাসে ৮৩৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরও যতœবান হওয়া জরুরি। যেকোনো সময় ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। আর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। এ রোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া নগরের হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চমেকে করোনা ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রূপান্তর করার বিষয়ে অবহিত করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ৫টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্তদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে মেডিসিনের ১৩, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ড ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক মশারির ভেতর থাকার কথা বলা হলেও তারা মশারির ভেতর থাকতে চাননা। এতে করে সাধারণ রোগীরাও ঝুঁকিতে আছেন।
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, চমেকের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে হাতে গোনা মাত্র ২/১ জন করে রোগী ভর্তি থাকছে। সেক্ষেত্রে এসব কোভিড রোগী আগের মতো চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রাখা যায়। এতে করে চমেক হাসপাতালের কোভিড ইউনিটটি খালি হলে সেখানে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, যেহেতু বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা কম, তাই তাদের জেনারেল হাসপাতালে রাখা যায়। তবে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন কোভিড রোগীর চিকিৎসা সুবিধা আমাদের এখানে নেই, যা চমেক হাসপাতালে রয়েছে। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post