চট্টগ্রাম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস (আরজেএসসি)’র যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে অংশীজনের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস’র রেজিস্ট্রার শেখ শোয়েবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মাহফুজুল হক শাহ ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার রণজিৎ কুমার রায় ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার অনন্ত কুমার পাল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ. এম. মাহবুব চৌধুরী এবং এম. এম. ইস্পাহানি লিঃ’র কোম্পানি সচিব মোঃ আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, শফিক বসাক এন্ড কোং’র সম্পদ কুমার বসাক বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস’র রেজিস্ট্রার শেখ শোয়েবুল আলম বলেন, সরকার ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সহজীকরণে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এরই অংশ হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের ছাড়পত্র, রেজিস্ট্রেশন, শেয়ার হস্তান্তর সহজীকরণ করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে কেউ যদি কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করতে চায় তাকে ঢাকায় আসতে হবে না। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে শেয়ার হস্তান্তরের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া নাম ছাড়পত্র ও নিবন্ধনসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে আরজেএসসি’র সকল সেবা অনলাইনের মাধ্যমে চালু করা হলে পেপারলেস প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে আরজেএসসি।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-সরকার যেকোন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা
সততা নিশ্চিতকরণে জাতীয় শুদ্ধাচার নীতি প্রণয়ন করে। এরই অংশহিসেবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে নাম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন ভোগান্তি ও জটিলতা নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার মাধ্যমে ব্যবসা সহজীকরণ হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ফি’র চেয়ে স্ট্যাম্প ফি অনেক বেশি। বড় কোম্পানি ও ছোট কোম্পানি উভয়কে একই ধরনের ট্রিট করে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। এক্ষেত্রে টার্নওভার অনুযায়ী কোম্পানি ক্যাটাগরি নির্ধারণ, স্ট্যাম্প’র ফি কমানো, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক ডকুমেন্টেশন একই দপ্তরের মাধ্যমে সমাপ্ত করা এবং সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আইটি বিভাগে জনবল বাড়ানো এবং ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক খরচ ও সময় সাশ্রয়ের আহবান জানান বক্তারা।